শেষ আপডেট: 12th July 2023 05:56
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতীয় টাকা অর্থাৎ সরকারি পরিভাষায় রুপিতে বাণিজ্যিক লেনদেন শুরু হল (business started between India and bangladesh)। মঙ্গলবার দু’দেশের মধ্যে যে বাণিজ্যিক লেনদেন হয়েছে তার পরিমাণ ছিল ২৮ মিলিয়ন রুপি। অর্থাৎ ডলারের পরিবর্তে দুই দেশের বণিকেরাই ভারতীয় টাকা অর্থাৎ রুপিতে লেনদেন করেছেন। মার্কিন ডলারের পরিবর্তে রুপিতে লেনদেনের ফলে দু’ দেশের বণিকেরাই আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে। যার পরিমাণ কম করে ২০ শতাংশ। কারণ, সাম্প্রতিক অতীতে ওই পরিমাণে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে।
নয়াদিল্লির খবর, ভারত সরকার ইওরোপিয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলির সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছে যাতে সেখানেও ভারতীয় মুদ্রায় লেনদেন সম্ভব হয়। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন, চলতি বছরেই এই ব্যবস্থা চালু করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার এগোচ্ছে। এরফলে প্রাথমিকভাবে উপকৃত হবেন বণিক ও পর্যটকেরা।
বাংলাদেশের সঙ্গে শুধু ভারতীয় মুদ্রায় বাণিজ্যিক লেনদেনই নয়, সে দেশের রাষ্ট্রীয় ব্যাঙ্ক নতুন ডেবিট কার্ড চালু করছে যা দিয়ে বাংলাদেশিরা ভারতে কেনাকাটাও করতে পারবেন টাকার বিনিময় মূল্যের হিসাবে। এরফলে বিনিময় খরচ থেকে রেহাই মিলবে। সাশ্রয় হবে টাকা ও রুপির। পাঁচ মাসের মধ্যে টাকা ও রুপিতে লেনদেনযোগ্য ডেবিট কার্ড চালু করা হবে বলে মঙ্গলবার ওই অনুষ্ঠানে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। বাংলাদেশের নিজস্ব এ ডেবিট কার্ডে নাম হবে ‘টাকা পে কার্ড’। এ কার্ড ব্যবহার করে ডুয়েল কারেন্সি সুবিধায় ভারতীয় রুপি ও টাকায় লেনদেন করতে পারবেন গ্রাহকরা। অনুষ্ঠানে ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় বর্মা নয়া পদক্ষেপকে ঐতিহাসিক বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘ডুয়েল কারেন্সিতে পণ্য কেনার সময় দু’দেশের নাগরিকদের মধ্যেই এই মানসিকতা কাজ করবে যে তারা মনে করবেন নিজের দেখে নিজের মুদ্রায় পণ্য কিনছেন। এতে কেনাকাটা ও বাণিজ্য আরও বাড়বে।’
বর্তমানে ভিসা, মাস্টার কার্ড ইত্যাদির ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড সেবা দুই দেশের চালু আছে। ওই সব কার্ড ব্যবহারের ফলে প্রতিবছর বিপুল বিদেশি মুদ্রা দুই দেশ থেকে লাভ করে থাকে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলি। নয়া ব্যবস্থায় দুই দেশও লাভবান হবে। সাশ্রয় হবে ডলারের।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ থেকে প্রথম ভারতীয় রুপিতে পণ্য রপ্তানি করেছেন সে দেশের বগুড়ার তামিম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। তিনি অ্যাকাউন্ট খুলেছেন ভারতের আইসিআইসিআই ব্যাংক এবং ঢাকায় অবস্থিক ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের শাখায়।
অন্যদিকে, ভারতীয় রুপিতে বাংলাদেশে প্রথম আমদানি করেছে নিটল-নিলয় গ্রুপ। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ভারত থেকে বছরে ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করে। আর ভারতে রফতানি করে ২০০ কোটি ডলারের পণ্য। এই লেনদেনের অনেকটাই এখন হবে ভারতীয় রুপিতে। কিছদিন পর বাংলাদেশি টাকাতেও।
বেঙ্গালুরুর বৈঠকে যোগ দেবেন সনিয়া, ছোট দলগুলিকেও আমন্ত্রণ খাড়্গের