শেষ আপডেট: 18th April 2024 17:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কোনওরকম রুটের পারমিট ছাড়াই শহর কলকাতা এবং বাবুঘাট এলাকায় একাধিক বাস চলাচল করছে বলে অভিযোগ। এ ব্যাপারে আগেই রাজ্যকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। তারপরও রাজ্য যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়ায় এব্যাপারে রাজ্যের ভূমিকার ক্ষুব্ধ কলকাতা হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, "শুধু শোকজ করলে হবে না, এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজন বাতিল করতে হবে লাইসেন্স।"
বাস নির্দিষ্ট পারমিটের বাইরে চলছে কি না, তা নিশ্চিত করতে এর আগে জিপিএস লাগানোর কথা বলা হয়েছিল। এব্যাপারে পরিবহণ দফতর কি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল তা আদালতকে জানানোর নির্দেশ দিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, "অন্যান্য রাজ্যের লোকাল বাসে পর্যন্ত ফ্যান লাগানো থাকে। আর আমাদের রাজ্যে আসুন, দেখবেন কী রকম বাস সার্ভিস!"
প্রধান বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, "এইভাবে বেআইনি বাস চললে তো যেকেউ যেকোনও রাস্তায় দশ বিশজন করে যাত্রী নিয়ে চলতে থাকবে!"
অভিযোগ, বাবুঘাট বা ধর্মতলায় ঢোকার অনুমতি না থাকলেও বিভিন্ন বাস এই রাস্তায় ঢুকছে এবং সেখান থেকে নিজেদের ইচ্ছেমতো বাস চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে আদালতের নির্দেশে রাজ্য পরিবহণ দফতরের সচিব ও ডেপূটি কমিশনার ট্রাফিককে নিয়ে কমিটি তৈরি করেছে রাজ্য। এদিন রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়, ওই কমিটি ৭৪ জনকে শোকজ করেছে। প্রধান বিচারপতি পাল্টা জানতে চান, "শোকজের পর তাদের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ করা হয়েছে? করা হয়ে থাকলে রিপোর্টে উল্লেখ নেই কেন?"
এরপরই বিচারপতি জানান, যে সমস্ত বাস মালিককে শোকজ করা হচ্ছে তারা আদৌ তারপর নির্দেশ মানছে কি না, সেটা দেখতে হবে রাজ্যকে। তা না হলে আদালতের নির্দেশে আখেরে কোনও কাজ হবেনা। পাশাপাশি রাজ্যের পরিবহন দফতরকে অনুসন্ধান করে দেখতে হবে এদের মধ্যে কাদের কাদের ইন্টারস্টেট অনুমোদন রয়েছে। এ ব্যাপারে রাজ্য পরিবহন দফতরের কাছে বিস্তারিত তথ্য তলব করেছে হাইকোর্ট।
পারমিট ছাড়াই বাস চলাচলের অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। মামলাকারীর আবেদন ছিল, কত বাস বেআইনিভাবে চলছে তা চিহ্নিত করা হোক এবং বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়া হোক আদালতে।