শেষ আপডেট: 2nd January 2025 19:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব যাদের, তাঁরাই নিজেরা দাযিত্ব নিয়ে সীমান্তে অনুপ্রবেশ করাচ্ছে! বিএসএফের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে এই বড় অভিযোগ এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রের মদতও রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "বিএসএফ সিতাই, ইসলামপুর , চোপড়া দিয়ে লোক ঢোকাচ্ছে। সীমান্তে মেয়েদের ওপর অত্যাচারও করছে বিএসএফ। কেন্দ্রীয় সরকারের ব্লু প্রিন্ট না থাকলে এটা হত না।"
আর সীমান্তের এই অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশের একাংশও বিএসএফকে সাহায্য করছে বলে এদিন সরাসরি অভিযোগ করেছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। এ প্রসঙ্গে এদিনের বৈঠক থেকে মালদহের এসপিকে একহাত নিয়েছেন মমতা।
মালদহে এদিন এক কাউন্সিলরের মৃত্যুর জন্য জেলার এসপিকে দুষে মমতা বলেন, "এসপির অপদার্থতার জন্য ওর মৃত্যু হল। ওর নিরাপত্তা তুলে নেওয়া হয়েছিল।" এসিপর উদ্দেশে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, "বর্ডার আর কালিয়াচক নিয়ে ব্যস্ত থাকলে উন্নয়ন হবে না। বিএসএফের সঙ্গে আপনি অ্যাডজাস্ট করে অনুপ্রেবেশ করাবেন। এ জিনিস আমি বরদাস্ত করব না। এসপির একটা চোখ থাকবে কাজে, আর একটা চোখ অন্যদিকে, এ জিনিস চলবে না।"
ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী এসপির উদ্দেশে এও বলেন, "বিএসএফকে খিচুড়ি খাওয়াচ্ছো, দিল্লি পুলিশকে বিরিয়ানি খাওয়াচ্ছো, আর রাজ্যটাকে রসাতলে পাঠাচ্ছো, এ জিনিস আমি হতে দেব না। এরকম করলে এসপি হওয়া যায় না, পুলিশকে গট গট করে হাঁটতে হবে, বন্দুক চালালে নয়।"
সীমান্তবর্তী জেলার কোন কোন এলাকার পুলিশ বিএসএফকে মদত দিচ্ছে এ বিষয়ে ডিজি রাজীব কুমারের কাছে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্টও চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে অনুপ্রবেশের প্রশ্নে বিএসএফের পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, "কেন্দ্রের মদতেই রাজ্যকে ডিস্টার্ব করতে অনুপ্রবেশ করানো হচ্ছে। রিপোর্ট তৈরি করে দিন। আমি কেন্দ্রর কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানাব।"