শেষ আপডেট: 6th August 2024 13:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রতিবাদের আগুনে জ্বলছে বাংলাদেশ। অবাধে চলছে খুন-লুঠতরাজ। এই পরিস্থিতিতে অনুপ্রবেশের আশঙ্কায় ‘নাইট ভিশন’ ক্যামেরা নিয়ে সোমবার সারা রাত পাহারা দিল বিএসএফ।
বিধ্বংসী আন্দোলনের মুখে সোমবার পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। তারপরেও জ্বলছে বাংলাদেশ। ১৩টি থানা ও দুটি কারাগারে হামলা চালিয়ে একাধিক বন্দিকে মুক্ত করেছেন আন্দোলনকারীরা। এদের মধ্যে রয়েছে জামাতের সদস্য থেকে ইসলামিক ছাত্র শিবিরের সদস্যরা। এতেই আশঙ্কার প্রহর গুনছে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। কারণ হাসিনা সরকারের আমলে ভারত বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে জামাত ও ইসলামিক ছাত্র শিবিরের অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারা আবার মুক্তি পেয়ে একই কাজে লিপ্ত হতে পারে বলে বিএসএফের আশঙ্কা।
তাই বাংলাদেশের সমস্ত সীমান্তে চলছে কড়া নজরদারি। বিশেষ করে যে এলাকায় কাঁটাতার নেই, সেই অংশে নাইট ভিশন ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। প্রতি মুহূর্তের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন বিএসএফ জওয়ানরা। দক্ষিণবঙ্গের ঘোজাডাঙা, বনগাঁর পেট্রাপোলের পাশাপাশি উত্তরের মহদিপুর, হিলি, ফুলবাড়ি, চ্যাঙরাবান্ধায় বিশেষ নজরদারি চলছে। দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীনে স্থল সীমান্ত রয়েছে ৯১৩.৩২৪ কিমি এবং জলসীমান্ত রয়েছে ৩৬৩.৯৩০ কিমি। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের অধীনে স্থলসীমান্ত রয়েছে ৯৩৬.৭০৩ কিমি। দক্ষিণবঙ্গে প্রায় ৫৩৮ কিমি এবং উত্তরবঙ্গে ৩৭৫ কিমি অংশে কোনও কাঁটাতার নেই। এই অংশটি নিয়েই চিন্তিত বিএসএফ।
দিন ও রাতের যে কোনও সময় অনুপ্রবেশ ঘটার আশঙ্কায় কড়া নজরদারি রয়েছে। বিএসএফ কর্তারা জানান, বাংলাদেশে যেভাবে হিংসাত্মক ঘটনা জারি রয়েছে তাতে বহু মানুষই প্রাণভয়ে সীমান্ত অতিক্রম করতে চাইবেন। এই পরিস্থিতিকে সামাল দিতে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে জওয়ানদের।