শেষ আপডেট: 15th September 2023 15:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত চরমে উঠেছে। এমনকী বিষয়টি গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্তও। সেই মামলায় এদিন শীর্ষ আদালত, সার্চ কমিটি তৈরি করার কথা বলে। সেই কারণে রাজ্য সরকার, ইউজিসি ও আচার্যের কাছে নমিনি চেয়ে পাঠিয়েছে শীর্ষ আদালত (Supreme Court)। সুপ্রিম রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। তিনি বলেন, 'আমরা আইনি পরামর্শ নিচ্ছি। কতজনের নমিনি আমরা পাঠাব, তা দুদিনের মধ্যে জানিয়ে দেব।' পাশাপাশি, উপাচার্য নিয়ে রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি তিনি, এমনই জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু।
রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজভবনের সঙ্গে মতানৈক্য রয়েছে রাজ্য সরকারের। রাজ্যের অভিযোগ, উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করে চলেছেন রাজ্যপাল। যদিও রাজভবনের বক্তব্য, আচার্য হিসেবে রাজ্যপাল নিয়ম মেনেই পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখেই উপাচার্য নিয়োগ করছেন।
এরপরই রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে ব্রাত্য বলেন, 'উনি জুনিয়র হিসেবে কাজ শিখছেন। কাজকর্মে ভুল হতেই পারে। আমরা তিনবারের সরকার। উনি যে কাজ শিখছেন সেটা দেখে ভাল লাগছে।' উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই ব্রাত্যকে 'জুনিয়র' তোপ দেগেছিলেন রাজ্যপাল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের কথায়, এদিন সেই বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন ব্রাত্য।
রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্য বাতিলের দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল রাজ্য সরকার। এদিন সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগের জন্য শীর্ষ আদালতই সার্চ কমিটি গঠন করে দেবে। সুপ্রিম কোর্ট এও নির্দেশ দিয়েছে, সার্চ কমিটিতে কাদের সদস্য করা হবে সে ব্যাপারে যেন রাজ্য সরকার, রাজ্যপাল এবং ইউজিসি ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩ থেকে ৫ জনের নাম পাঠান।
শীর্ষ আদালত এও বলেছে, রাজ্যপাল আচার্য হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যদের নিয়োগ কর্তা। অর্থাৎ অ্যাপয়ন্টিং অথরিটি। কিন্তু রাজ্যপাল উপাচার্যদের নির্বাচন কর্তা নন, অর্থাৎ সিলেক্টিং অথরিটি নন। এ ব্যাপারে তাঁর কোনও পারদর্শিতা নেই। তাছাড়া রাজ্যপালের কাছে কোনও সিলেকশন কমিটিও নেই।
আরও পড়ুন: চাঁদনি চকের বহুতলে আগুন, কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে চারপাশ, ঘটনাস্থলে দমকলের ৪ ইঞ্জিন