শেষ আপডেট: 4th March 2024 13:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সংকট কাটাতে সাতসকালে তাপস রায়ের বাড়িতে তৃণমূল কংগ্রেসের দূত। দলের প্রবীণ বিধায়কের সিদ্ধান্ত বদল ও অভিমান কাটাতে সকালেই তাপস রায়ের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং কুণাল ঘোষ। কুণাল ঘোষ এদিন বলেন, আমি প্রায়ই তাপসদার বাড়িতে আসি। আজও এসেছি। নানা বিষয়ে গল্পগুজব হয়। তৃণমূলের দুই শীর্ষ নেতাই এটাকে নিতান্তই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে বর্ণনা করেছেন। তবে আলোচনা এখনও চলছে। সেখানে কী কথাবার্তা হল, তার জন্য অপেক্ষা আর কিছুক্ষণের।
বেশ কিছুকাল ধরেই রাজ্যের প্রবীণ বিধায়ক তাপস রায় দলবিরোধী কথাবার্তা বলছেন। দলীয় নেতৃত্বকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন বরানগরের বিধায়ক। তাঁর প্রতি দলীয় 'বঞ্চনা'র অভিমানের সুরও শোনা গিয়েছে তাপসের মুখে। সম্প্রতি কলকাতা উত্তরে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে লোকসভার টিকিট দেওয়ার বিরোধিতা করে আসরে নামেন। তার পর থেকেই তাঁর সম্পর্কে দলের ভিতরে-বাইরে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল দলত্যাগের সম্ভাবনা নিয়ে।
রবিবার থেকে সেই জল্পনা আরও আকার নিতে শুরু করে। আর তা থেকেই এদিন সকালেই তাপস রায়ের বউবাজারের বাড়িতে চলে যান ব্রাত্য বসু ও কুণাল ঘোষ। তৃণমূল সূত্রে শোনা যাচ্ছে, তাপস রায়কে লোকসভা ভোটের আগে দলত্যাগ না করতে বোঝাতে পারেন তাঁরা। কারণ তাঁর মতো দীর্ঘদিনের মমতা-অভিষেকের সৈনিক দল ছাড়লে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তা যাবে। প্রসঙ্গত, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী হওয়ার বিরোধিতা করে দলের ভিতরে গত দু-তিন ধরে হাওয়া তৈরি হয়েছে। ক্রমশ তা ঝড়ে পরিণত হতে চলেছে। এই অবস্থায় তাপস রায় দলকে বাজিয়ে দেখতে চাইছেন কিনা তা নিয়ে দলের অন্দরেও আলোচনা শুরু হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেকদিন ধরেই তাপস রায় তার বরানগর কেন্দ্রে যাচ্ছেন না। উত্তর কলকাতা তাঁর হাতের তালুর মতো চেনা জায়গা। ফলে সুদীর্ঘকাল বিধায়ক পদে থেকে এবার নতুন ময়দানে খেলার বাসনা হয়েছে কিনা তা সময়ই বলবে। তবে এদিনের আলোচনায় শেষ পর্যন্ত কী বেরিয়ে আসে, তার উপর নির্ভর করছে তাপস রায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ।