শেষ আপডেট: 7th May 2020 06:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো : লখনউয়ের চাঁদবাগ রেলস্টেশনের বাইরে এক বালকের গায়ে জীবাণুনাশক স্প্রে করছেন পুরসভার জনৈক কর্মী। করোনা অতিমহামারী থেকে বাঁচার জন্য পুরকর্মীদের যে বিশেষ পোশাক দেওয়া হয়েছে, তিনি সেই পোশাক পরে রয়েছেন। আচমকা গায়ে জীবাণুনাশক ছিটিয়ে দেওয়ায় বালকটি ভয়ে সিঁটিয়ে আছে। এমন সময় এক মহিলা চেঁচিয়ে উঠলেন, “আরে, ও যে ভিজে যাবে!” বালকটির পরিবার কাছেই রাস্তার ডিভাইডারের ওপরে বসে আছে। তাদের কারও মুখে কথা নেই।
মোট ছয় সেকেন্ডের এক মোবাইল ক্লিপে দেখা গিয়েছে এই দৃশ্য। ছবিটি তোলা হয়েছে বুধবার। তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে নেট দুনিয়ায়। এর আগে লকডাউন শুরু হওয়ার কিছুদিন পরেই দেখা গিয়েছিল, পরিযায়ী শ্রমিকদের দেহে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। সেই শ্রমিকরা রাজ্য সরকারের পাঠানো বাসে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের বরেলি জেলায় তাঁদের জীবাণুনাশক দিয়ে স্নান করানো হচ্ছিল। ওই ধরনের জীবাণুনাশক দিয়ে কোনও বস্তুকে পরিষ্কার করা যায়। কিন্তু মানুষের দেহে তা প্রয়োগ করা যায় না।
লখনউ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের এক অফিসার অবশ্য বলেছেন, ইচ্ছা করে ওই বালকের গায়ে জীবাণুনাশক দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি শ্রমিকদের ভিন রাজ্য থেকে আনা হয়েছে লখনউতে। তাঁদের বাসে চড়িয়ে বাড়িতে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। বাস স্টপেই ওইভাবে ছেলেটির গায়ে জীবাণুনাশক দেওয়া হয়েছিল।
লখনউয়ের মিউনিসিপ্যাল কমিশনার ইন্দ্রমণি ত্রিপাঠি বলেন, “বাসগুলি জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছিল। হোসপাইপে করে জীবাণুনাশক ছড়ানোর সময় কয়েকজন শ্রমিক তার সামনে এসে পড়েন। কেউ ইচ্ছা করে তাঁদের গায়ে জীবাণুনাশক দেয়নি।”
পরে ত্রিপাঠি বলেন, “এক মাস ধরে কর্পোরেশন বাসগুলি জীবাণুমুক্ত করছে। এর আগে এমন ঘটনা কখনই ঘটেনি।”