ফাইল ছবি।
শেষ আপডেট: 26 March 2025 08:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফের যেন বোমার রাজনীতি ফিরল বাংলায়!
বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদ থেকে উদ্ধার হল বোমা। বহরমপুরে বোমা ফেটে জখম এক বালক। অন্যদিকে সোনারপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রর পিছন থেকে উদ্ধার হয়েছে বেআইনি অস্ত্র ও গুলি। ঘটনায় একজনকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। রাজ্যের জেলায় জেলায় এভাবে বোমা, অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা।
জানা যাচ্ছে, এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার দেগঙ্গার পঞ্চায়েত প্রধান বাপ্পা মণ্ডলের বাড়ির সিঁড়িতে একটি মিষ্টির প্যাকেট দেখতে পান তাঁর মা। বাপ্পার কথায়, "মা সকালে ফুল তুলতে উঠেছিলেন। তখনই বাড়ির সিঁড়িতে মিষ্টির প্যাকেট দেখেন। প্যাকেটের ভেতরে বোমা রাখা ছিল!"
সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন পঞ্চায়েত প্রধান। কে বা কারা বোমা রেখে গিয়েছিল তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, "সেভাবে আমার কোনও শত্রু নেই। বুঝতে পারছি না, কারা এই কাণ্ড ঘটাল।"
অপর বোমা কাণ্ডটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদে। বাড়ির পাশে নয়ানজুলিতে একটি ব্যাগের মধ্যে জর্দার কৌটোর মধ্যে রাখা ছিল বোম। খেলতে গিয়ে ওই ব্যাগ কুড়িয়ে বাড়িতে আসে সোনারুল শেখ নামে বছর দশেকের বালক। ওই জর্দার কৌটা নিয়ে খেলতে গিয়েই বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর জখম হয় সোনারুল। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে আসা হয় বহরমপুর হাসপাতালে। বোমা ফেটে সোনারুলের পা ঝলসে যায়। জখম হন তাঁর দিদা মনোয়ারা বিবিও। কে বা কারা জর্দার কৌটার মধ্যে বোমা রেখেছিল, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
দুটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল তৈরি হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। অন্যদিকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ফের সোনারপুরে সমাজবিরোধী কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এর আগে গত পঞ্চায়েত ভোটের সময় এভাবেই রাজ্যের জেলায় জেলায় বিভিন্ন এলাকা থেকে বোমা পাওয়া গিয়েছিল। কোথা থেকে বোমা আসছে, পুলিশ খবর পাচ্ছে না কেন, উঠছে প্রশ্ন।