শেষ আপডেট: 10th April 2023 07:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) রবিবার ইস্টার সানডে'তে দিল্লির একটি গির্জাতে (church) গিয়েছিলেন। গির্জার ফাদারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের ছবি বিজেপি (BJP) দলের সামাজিক মাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করছে। দলের নেতা, মন্ত্রীরা টুইট করছেন সেই ছবি।
দলীয় সূত্রে খবর, আসন্ন ইদে বিজেপি সব রাজ্যে সুফি সংবাদ মহা অভিযান শুরু করতে চলেছে। এই কর্মসূচির অংশ হিসাবে ইসলাম নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি দরগায় কাওয়ালি সঙ্গীতের আয়োজন করবে দল। সেখানে বিজেপির কেন্দ্র ও রাজ্যের মন্ত্রীরা ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন প্রথম সারির নেতারা।
নরেন্দ্র মোদীর সরকার ধর্ম নির্বিশেষে সব মানুষের কল্যাণে কাজ করছে, মুসলিমদের কাছে এই বক্তব্য তুলে ধরবে দল। ইদে প্রধানমন্ত্রী কোনও মসজিদ, দরগায় যান কিনা, রবিবার তিনি গির্জায় পা রাখার পর থেকেই তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল। সোমবার বিজেপির সুফি সংবাদ মহা অভিযান কর্মসূচির কথা জানাজানির পর জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে।
রবিবার ইস্টার সানডেতে কেরল ও কর্নাটকের বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরাও দলে দলে গির্জায় গিয়েছেন। দক্ষিণের এই দুই রাজ্যেই খ্রিস্টান ভোটারদের উপর বেশ কিছু আসনে জয়-পরাজয় নির্ভর করে।
গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী দিল্লিতেও কেরলের খ্রিস্টান নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁর দিল্লির বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন জমিয়তে উলেমায় হিন্দ এবং অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের কর্তাদের। রামনবমীতে দেশের পাঁচটি রাজ্যে অশান্তি হয়েছে। সংখ্যালঘু নেতাদের অভিযোগ, তাদের সম্প্রদায়ের উপর বহু জায়গায় হামলা হয়েছে।
দুই সংগঠনের নেতারাই জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যবহারে তাঁরা অভিভূত। শাহ খুবই গুরুত্ব দিয়ে প্রতিটি অভিযোগ শুনেছেন। অনেক ঘটনার তিনি নিন্দা করে কথা দেন সরকার সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারকে বলবে ব্যবস্থা নিতে।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, পরদিনই অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সব রাজ্যকে চিঠি দিয়ে হনুমান জয়ন্তী নিয়ে সতর্ক করে দেয়। কেন্দ্র বলে, অশান্তি রুখতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সরকার সহায়তা করবে।
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সংখ্যালঘু নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেও গুরুদ্বার ছাড়া আর সংখ্যালঘুদের অন্য কোনও উপাসনাস্থলে সেভাবে যাননি। সরকারি উদ্যোগে ইফতার পার্টিও বন্ধ হয়ে যায়, যা অটল বিহারি বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ও চালু ছিল।
মোদী সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্থান মোটের উপর এড়িয়ে গেলেও বরাবর দাবি করেছেন তাঁর সরকার তোষণ বন্ধ করে সুশাসন চালু করেছে। সব ধর্মের মানুষের প্রতি সমান দায়িত্ব পালন করে চলেছে।
বিজেপির বিগত দুটি জাতীয় কর্মসূচির বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই বক্তব্য তুলে ধরে দলকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সঙ্গে সখ্য বাড়ানোর পরামর্শ দেন। বিজেপি সূত্রে খবর, ২০২৪ এ ৪০০ আসন দখলের স্বপ্ন পূরণে সংখ্যালঘুদের সমর্থন জরুরি বুঝেই প্রধানমন্ত্রীর ওই পরামর্শ।
লোকসভার সবচেয়ে বেশি, আশিটি আসন আছে উত্তরপ্রদেশে। ওই রাজ্যে জনসংখ্যার কুড়ি শতাংশ বা পাঁচ কোটি হল মুসলিম। মোদীর পরামর্শ মেনে ইতিমধ্যে ইউপি বিজেপি মুসলিমদের বিভিন্ন সংগঠনকে নিয়ে সম্মেলন করেছে। চারজন মুসলিমকে রাজ্য বিধান পরিষদের সদস্য করা হয়েছে।
‘হিন্দু রাষ্ট্র’র প্রথম জেলা উত্তর-পূর্ব দিল্লি, ঘোষণা গেরুয়া সংগঠনের