শেষ আপডেট: 5th September 2024 08:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বুধবার জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকে আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে শহর তথা রাজ্যের সাধারণ মানুষ। কোচবিহারের মাথাভাঙাও তার ব্যতিক্রম ছিল না। সেখানেও মোমবাতি জ্বালিয়ে, রাস্তায় এঁকে বিচার চাওয়া হয়। কিন্তু অভিযোগ উঠেছে, প্রতিবাদের আঁকা মুছে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। শুধু তাই নয়, মোমবাতিও নিভিয়ে দেওয়া হয়, এমনকী প্রতিবাদীদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেওয়ার মতোও অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বিজেপি তুলোধনা করেছে শাসক শিবিরকে।
রাজ্যের অন্যান্য জায়গার মতো মাথাভাঙাতেও 'আরজি করের বিচার চাই', 'মেরুদণ্ড সোজা রাখুন', 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' সহ বিভিন্ন লেখার পাশাপাশি নির্যাতিতার প্রতীকী ছবি আঁকা হয়। তবে অভিযোগ, সেই প্রতিবাদ শেষ হতেই একদল তৃণমূলের লোক এসে আঁকাগুলি মুছে দেয়। মোমবাতিও নিভিয়ে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে, একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে যেখানে দেখা যায়, কিছু প্রতিবাদীকে মারধর করা হচ্ছে। এমনই এক ভিডিও নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ''তৃণমূল এখন মোমবাতির তাপও সহ্য করতে পারছে না। তাই তাঁরা জোর করে তা নেভানোর চেষ্টা করছে। দেওয়াল লিখল স্পষ্ট, বাংলার দখল নিয়েছে সাধারণ মানুষ।''
অন্যদিকে, বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের কথায়, ''তৃণমূল শুধু গণতন্ত্র-বিরোধী নয়, মানবতা-বিরোধী। মাথাভাঙায় যেভাবে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে থামানোর চেষ্টা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।'' কোচবিহারের ঘটনায় মুখ খুলেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষও। তাঁর বক্তব্য, ''মাথাভাঙার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা করছে তৃণমূল। যারা করেছে পুলিশ ব্যবস্থা নিক। গোলমাল করে বাংলাকে অশান্ত করতে চায় অনেক অপশক্তি। প্ররোচনায় কেউ পা দেবেন না। দলের কেউ এসবে জড়ালে ছাড় পাবেন না।''
দিন দুয়েক আগেই দলীয় কর্মীদের বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট বলেছিলেন, এই ধরনের কাজে যাতে কোনও তৃণমূলের কর্মী বা সমর্থক না জড়ান। কিন্তু তারপরও দেখা গেল মাথাভাঙার ঘটনা। যা বিতর্ক বাড়িয়েছে বহুগুণ।