অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: 10th March 2025 15:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিজেপির শঙ্কর ঘোষ ও মনোজ ওরাওঁকে বিধানসভার কক্ষ থেকে বের করে দিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মার্শালকে নির্দেশ দেওয়ার পরই বিজেপির বাকি বিধায়করাও কক্ষ ছেড়ে বেরিয়ে যান।
সোমবার বিজেপির হীরণ চট্টোপাধ্যায় বক্তব্য রাখাকালীন তাঁর সময় পেরিয়ে গিয়েছে জানিয়ে অধ্যক্ষ মাইক বন্ধ করে দেন। এরপরই শঙ্কর ঘোষরা কক্ষে প্রশ্ন তোলেন। অভিযোগ আনেন, এভাবেই বিরোধীদের বলতে দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ তলেন তাঁরা। এরপরই শুরু হয় বিজেপি বিধায়কদের স্লোগান।
পরিস্থিতি এমনই হয়ে ওঠে যে অধ্যক্ষ মার্শাল ডেকে শঙ্কর ঘোষ ও মনোজ ওরাওঁকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। যাঁকে কেন্দ্র করে অশান্তির শুরু সেই হীরণের দাবি, ১৭ মিনিট বক্তব্য রাখার জন্য বরাদ্দ ছিল। কিন্তু ১১ মিনিটে মাইক বন্ধ করে দেন অধ্যক্ষ।
অন্যদিকে, শাসক দলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের দাবি, অধ্যক্ষের চেয়ারকে অপমান করা হয়েছে। এই মর্মে নোটিসও দেন তিনি। বলেন, বিধানসভার রুল ৩৪৮ অনুযায়ী বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মনকে ৩০ দিন বা এই অধিবেশনের বাকি দিনের জন্য সাসপেন্ড করা হোক।
ধ্বনি ভোটে সেই নোটিস পাশ হলে ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মনকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘটনার পরই বাইরে বেরিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন শুভেন্দু-সহ বিজেপির বাকি বিধায়করা। বিরোধী দলনেতার কথায়, "তালিবানি শাসন চলছে। স্পিকার দলদাস। অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে চ্যাংদোলা করে সরকার থেকে ফেলে দিয়েছে মানুষ। ২৬ আসছে। এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চ্যাংদোলা করে বাইরে ফেলে দেবে জনগন।"
শুভেন্দু জানান, ঘটনার প্রতিবাদে তিনি ১৯ তারিখ বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বারুইপুর অভিযান করবেন। যেখানে অধ্যক্ষের মুখোশ খোলারও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।