শেষ আপডেট: 13th December 2024 16:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা করতে শুক্রবার পুরভবনে এসেছিলেন গোঘাটের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক।
মাস্কে ঢাকা মুখ! তবু পুরকর্মীদের অনেকেই তাঁকে চিনতে পেরেছিলেন। শাসকদলের মন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধী দলের বিধায়কের একান্ত সাক্ষাৎকার নিয়ে তাঁদের মধ্যে দল বদলের গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। মুহূর্তে সে খবর পৌঁছে যায় মিডিয়ার কাছেও।
ফিরহাদের ঘরের বাইরে তখন একঝাঁক সাংবাদিক। পর্দা ঠেলে বাইরে বেরোতেই তা দেখে রীতিমতো বিব্রত বিজেপি বিধায়ক। আমতা আমতা করে তাঁকে বলতে শোনা যায়, "না, না, বলার কিছু নেই! বললে আপনারা হয়তো অন্য কিছু ভাববেন!'
এই 'অন্য কিছু'র ব্যাখ্যায় বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথের দাবি, "আরামবাগ পুরসভা এলাকায় গ্রিন সিটির কাজ করার নামে প্রায় ৯ কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। এ ব্যাপারে পুরসভার চেয়ারম্যান পুর বিভাগকে চিঠিও লিখেছেন। আমিও এই দুর্নীতির বিষয়ে কিছু তথ্য পেয়েছি, ব্যক্তিগতভাবে মন্ত্রীকে জানিয়ে গেলাম।"
এই সাক্ষাৎকারের নেপথ্যে দল বদলের কোনও বিষয় নেই বলেও দাবি করেছেন বিজেপি বিধায়ক। বিশ্বনাথের কথায়, "জন প্রতিনিধি হিসেবে হাকিম সাহেবের কাছে এসেছিলাম। অন্য মানে করাটা ঠিক হবে না।" এ ব্যাপারে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ওরফে ববির কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
তবে শাসকদলের মন্ত্রীর কাছে বিজেপি বিধায়কদের আগমন ঘিরে রাজনৈতিক মহলে নানাগুঞ্জন শুরু হয়েছে। নিন্দুকেরা মনে করাচ্ছেন, বিশ্বনাথ কারক আগে বামফ্রন্টের বিধায়ক ছিলেন। পালা বদলের পর দল বদলে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। অর্থাৎ দল বদলের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।
সংশ্লিষ্ট মহলের তরফে একথাও স্বীকার করা হচ্ছে যে জন প্রতিনিধি হিসেবে বিরোধী দলের বিধায়ক শাসকদলের মন্ত্রীর ঘরে যেতেই পারেন। কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক দলবদলের ঘটনার জেরেই শাসক-বিরোধী বিধায়ক বা নেতাকে কাছাকাছি দেখলেই বিষয়টিকে আর 'নিরামিষ' হিসেবে দেখতে চান না কেউই!