শেষ আপডেট: 9th January 2025 17:27
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভাটপাড়া পুরসভায় চেয়ারম্যান রিলিফ ফান্ডের টাকায় বেনিয়মের অভিযোগে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা সদর দফতর ভবানী ভবনে তলব করা হয়েছিল ব্যারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা তৎকালীন পুরসভার চেয়ারম্যান অর্জুন সিংকে।
গোয়েন্দা তলবের পরে বৃহস্পতিবার জগদ্দলে নিজের বাসভবন থেকে ভবানী ভবনে যান বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। একাধিক মামলায় অর্জুন সিং ও তাঁর পুত্র ভাটপাড়ার বিধায়ক পবন সিংকে বারবার নোটিস পাঠানো হচ্ছে। বুধবার তাঁদের হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও অসুস্থ জানিয়ে ভবানী ভবনে যাননি তিনি। কোর্টের কাজ আছে জানিয়ে হাজিরা দেননি পবন সিংও। তবে জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ হাজিরা দেন অর্জুন।
বিকেলে ভবানী ভবন থেকে বেরিয়েই একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি নেতা। বললেন 'এখন মনে হচ্ছে এখানেই কোথাও একটা থাকতে হবে। খালি যাচ্ছি আর আসছি। আমরা তো পলিটিক্যাল লোক। নানা রকম কাজ আছে। অথেন্টিক কোনও কথা হলে ঠিক আছে জিজ্ঞাসাবাদ করুক। এদের তো অথেন্টিসিটি বলে কিচ্ছু নেই।'
বলেন, 'ভাবুন একবার, ২০০৯ সালের ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট নিয়ে এক একটা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জিজ্ঞেস করছে। বলছে ২০০০ টাকা কাকে দিয়েছেন? ৫০০০ টাকা কাকে দিয়েছেন? এর মানে কী? মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের নির্দেশে শুধু হয়রানি করা হচ্ছে। এখানে কেউ রাজনীতি করবে না? ওঁর কোনও বিরোধী থাকবে না? তাহলে সবাইকে জেলে ঢুকিয়ে দিক। এভাবে রাজনীতি হয় না।'
তাঁর কথায়, 'রাজনীতিতে সূর্য উদয় থেকে অস্ত আছে। এই সরকারের এজেন্সি ছাড়া আর কিচ্ছু নেই। থাকার মধ্যে আছে শুধু জেহাদি আর গুন্ডা'।
প্রসঙ্গত, পুরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন চেয়ারম্যান রিলিফ পান্ডের টাকা ব্যক্তিগত কাজে লাগানো হয়েছে এই অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ভবানী ভবনে ডাকা হয় তাঁকে। তদন্তকারীদের মুখোমুখি হতে যাওয়ার সময় এদিন প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, 'রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে বারবার আমাকে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে। চেয়ারম্যান রিফান্ডের টাকা থেকে অনেক গরিব মানুষকে সাহায্য করা হয়েছে। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যখন কর্মীদের বেতন দিতে পারতে না চেয়ারম্যান রিলিভ ফান্ড থেকে মাইনে দেওয়া হয়েছে। বারবার ভবানী ভবনে ডেকে গাড়ির তেল আর আমার সময় নষ্ট করছে এরা। এবার সুপ্রিম কোর্টে যেতে হতে পারে।'