শেষ আপডেট: 23 February 2024 14:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ বিজেপির মহিলা টিমের যাওয়ার কথা ছিল সন্দেশখালি। কিন্তু তার আগেই বিজেপির মহিলা প্রতিনিধি দলকে আটকে দেয় পুলিশ। ভোজেরঘাট এলাকায় পুলিশের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। তারপরই লকেট চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ।লালবাজার নিয়ে যাওয়া হয়।
সন্দেশখালিতে নতুন করে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। বৃহস্পতিবার জানান হয়েছিল, রাত ১২টা থেকে শনিবার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা লাগু থাকবে থাকবে ৯ জায়গায়। কিন্তু ভোজেরহাটে কোনও ১৪৪ ধারা লাগু নেই। তা সত্ত্বেও তাঁদের কেন আটকানো হল এই প্রশ্ন তোলেন লকেটরা। সেই কারণেই পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি হয় তাঁদের। তখনই লকেটকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি গিয়ে থানার সামনে অবস্থানে বসেছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু পুলিশ তাঁকে সেখান থেকে প্রথমে গ্রেফতার করে। তারপর জামিনও পেয়ে যান সুকান্ত। শুক্রবার ফের সন্দেশখালি ইস্যুতে উত্তেজনা।
বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিকাণ্ডে ধৃত বিকাশ সিংহের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে থানায় গেছিলেন সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু তাঁকে থানার ভিতরে ঢোকার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এরপরই তিনি রাস্তায় অবস্থানে বসে পড়েন। হুঁশিয়ারি দেন, শাহজাহান গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত তিনি অবস্থান চালিয়ে যাবেন। যদি দরকার পড়ে তাহলে রাতভর বিক্ষোভ চলবে। এরপরই পুলিশ তাঁকে থানার সামনে থেকে তুলে নিয়ে যায়।
ভোজেরহাটের গন্ডগোলের আগে সন্দেশখালিতেই গ্রামবাসীদের নতুন করে বিক্ষোভ দেখা গেছে। তাঁরা শাহজাহান শেখের অনুগামীর মাছের ভেড়ির আলাঘর পুড়িয়ে দিয়েছেন। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, প্রায় ৪০ বিঘা জমি জোর করে দখল করে নেওয়া হয়েছে তাঁদের। এর প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছে অনেককে। তাঁদের দাবি, সন্দেশখালি থানায় গিয়ে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। উল্টে তাঁদের অত্যাচার করা হয়েছে। মূল অভিযোগ, শাহজাহানের অনুগামী তৈয়েব খান এলাকাবাসীর জমি দখল করেছিলেন। কিন্তু তার বদলে কোনও টাকাপয়সা দেননি। বরং টাকা চাইতে গেলে হুমকি দেওয়া হয়।