শেষ আপডেট: 29th April 2024 12:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের প্রার্থী পদ বাতিল করা হয়েছে। 'নো ডিউজ সার্টিফিকেট' দেখাতে না পারায় এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন দেবাশিস ধর।
সোমবার মামলাটি প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। এদিনই দ্রুত শুনানির আবেদন করেছেন দেবাশিসের আইনজীবী। সব পক্ষকে নোটিশ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে গত ২৬ এপ্রিল হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন পুলিশ কর্তা। তাঁর বক্তব্য ছিল, সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র থাকার পরও তাঁর প্রার্থী পদ বাতিল হয়েছে। কিন্তু হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চ এই মামলাটি গ্রহণ করেনি। এরপরই সোমবার সুপ্রিম কোর্টে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান তিনি।
কোচবিহারের পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন আইপিএস দেবাশিস ধর। একুশের বিধানসভা ভোটে কোচবিহারের শীতলকুচি কাণ্ডের পর তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। পরে সাসপেনশন প্রত্যাহার হলেও কম্পালসরি ওয়েটিংয়ে রাখা হয় তাঁকে। দেবাশিস ধরের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের বিভাগীয় তদন্ত চলছে। ইস্তফা দিলেও নবান্ন থেকে এখনও তাঁকে রিলিজ দেয়নি।
নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, সেকশন ৩৬ অফ রিপ্রেসেন্টেশন অফ পিপলস অ্যাক্ট অনুযায়ী, যদি কোনও প্রার্থী সরকারি চাকরি থেকে স্বেচ্ছাবসর নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হন, তাঁকে 'নো ডিউস' সার্টিফিকেট জমা করতে হয়। বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী সেই সার্টিফিকেট জমা দিতে পারেননি। তাই তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ফর্ম ২৬ পূরণ করে হলফনামা জমা দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু দেবাশিস ধর তা করেননি।
তবে প্রার্থীপদ যে বাতিল হতে পারে তার আশঙ্কা করেছিল বিজেপি। তাই বীরভূম কেন্দ্রে দেবাশিস ধরের বিকল্প প্রার্থী আগেই দিয়ে রেখেছিল তাঁরা। সেই প্রেক্ষিতেই দ্বিতীয় দফা ভোটের আগে হঠাৎ ওই আসনে বিজেপির দ্বিতীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেন দেবতনু ভট্টাচার্য।