শেষ আপডেট: 6th October 2024 15:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে রবিবার বিজেপির কুলতলি থানা ঘেরাও অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার। এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে ‘কুলতলি থানা চলো’-র ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু থানার মোড়েই বিজেপির নেতা-কর্মীদের পুলিশ বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।
পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় তাঁদের। পরে রাস্তায় বসেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল।
সুকান্ত, অগ্নিমিত্রাদের দাবি, তাঁদের কোনওমতেই থানার সামনে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। পুলিশ ব্যারিকেড করে তাঁদের জোর করে আটকে দিচ্ছে। বিনা কারণে তাঁদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এরপরই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার তুলে পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি জানান তাঁরা।
সুকান্তর অভিযোগ, এদিন আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই মিছিল করে থানার সামনে যাচ্ছিলাম কিন্তু পুলিশ জোর করে আমাদের বাধা দেয়। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সুকান্তর অভিযোগ, 'প্রতিটি প্রান্তেই এমন নারকীয় ঘটনা ঘটছে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে চুপ পুলিশ। আমরা অবিলম্বে নির্যাতিতার সুবিচার চাই।’ পাশাপাশি সিবিআই তদন্তেরও দাবি তুলেছেন তিনি।
অগ্নিমিত্রা পল প্রশ্ন তোলেন, কেন আমাদের মিছিল থানার সামনে যেতে দেওয়া হল না? পুলিশের কীসের এত ভয়? ওঁরা তদন্ত কিছুই করতে পারছে না, উল্টে প্রতিটি ঘটনার মোড় ঘোরাতে উঠেপড়ে লেগেছে। অবিলম্বে নির্যাতিতার বিচারের দাবিও তোলেন তিনি।
একদিকে এদিন বিজেপি যখন কুলতলি থানা ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছে তেমনই জয়নগর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন এসইউসইআই সমর্থকরা। থানার মোড়ে সকাল থেকেই মঞ্চ বেঁধে সুবিচারের দাবিতে সরব তাঁরা।
চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে যৌন নির্যাতন করে খুনের ঘটনার যে অভিযোগ সামনে এসেছে তারই প্রতিবাদে কুলতলি থানা ঘেরাওয়ের ডাক দিয়েছে বিজেপি। বাংলার মহিলাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ পুলিশ, ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনার পরও কোনও পদক্ষেপ করেনি, এমনটাই অভিযোগ বিজেপির রাজ্য সভাপতির।