শেষ আপডেট: 17th March 2024 14:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উনিশের লোকসভা ভোটে বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর আসন থেকে বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন সৌমিত্র খাঁ। অথচ আদালতের নির্দেশে জেলায় ঢুকতেই পারছিলেন না তিনি। তাঁর প্রচার সামলেছিলেন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ। ঠিক পাঁচ বছরের মধ্যে বদলে গেছে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক।
সৌমিত্র-সুজাতার ডিভোর্স হয়েছে। তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন সুজাতা। একুশের ভোটে আরামবাগে পরাস্ত হওয়ার পর বাঁকুড়ার জয়পুর থেকে জেলা পরিষদের সদস্য হন। আর ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে প্রাক্তন স্বামীর বিরুদ্ধেই তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন সুজাতা।
এদিকে রাজনীতির ময়দানে ব্যক্তিগত সম্পর্কের তিক্ততা এসে পড়েছে। বিষ্ণপুরের তৃণমূল ও বিজেপির দুই প্রার্থীর একে অপরকে আক্রমণ, বেফাঁস মন্তব্য রোজই উঠে আসছে শিরোনামে। একে অপরকে কখনও পাগল, ফুর্তিবাজ, কখনও লম্পট, মাতাল বলে তোপ দেগেছেন। আর ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই যেন সেই আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ছে। কিন্তু সুজাতার বিরুদ্ধে সৌমিত্রর দিক থেকে কোনও ব্যক্তি আক্রমণ কিংবা অসংযত মন্তব্য চায় না বিজেপি। ইতিমধ্যে বিজেপি নেতৃত্বের তরফে এমনই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রাক্তন স্ত্রীকে ব্যক্তিগত আক্রমণ না করে বরং বিজেপি চাইছে প্রচারে গিয়ে গত ১০ বছরে নরেন্দ্র মোদী সরকারের কাজের হিসাবনিকেশ তুলে ধরুক সৌমিত্র। পাশাপাশি সাংসদ হিসেবে তিনি নিজে কী কাজ করেছেন তাও এলাকাবাসীকে জানাতে হবে। শাসক দল তৃণমূলের দুর্নীতির কথা তুলে ধরে ভোট চাইলেও কোনও মন্তব্য ব্যক্তিগত স্তরে যাক, এমনটা চায় না বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁদের মতে, প্ররোচনায় পা দিয়ে যাতে সৌমিত্র নিজের বিপদ ডেকে না আনেন তার জন্যই সাবধান করা হয়েছে।
বিষ্ণুপুর লোকসভার মধ্যে যে ৭টি বিধানসভা রয়েছে সেগুলি হল খণ্ডঘোষ, বড়জোড়া, ওন্দা, বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর, ইন্দাস এবং সোনামুখী গত লোকসভা ভোটে এই আসনে প্রায় ৮০ হাজার ভোটে জিতেছিল বিজেপি। সেই জয়ের নেপথ্যে অন্যতম কারিগর ছিলেন সুজাতা। এবার তিনি প্রাক্তন কর্তার সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে নেমেছেন।
শনিবার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তার বেশ কিছুদিন আগেই বিষ্ণুপুরের প্রচারের ময়দানে নেমেছেন বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ ও তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল। প্রায় প্রতিদিনই প্রাক্তন স্বামী-স্ত্রী যুযুধান দুই শিবির থেকে একে অপরের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন। কিন্তু প্রার্থীর ব্যক্তিগত সম্পর্কের কারণে কোনওভাবেই নিজেদের জেতা আসন হারাতে রাজি নয় বিজেপি।