শেষ আপডেট: 8th April 2025 12:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এসএসসি-র (SSC) অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল তা মঙ্গলবার খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। অনেকেই মনে করছেন, এই রায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে স্বস্তি দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসও এই রায়কে নিজেদের জয় হিসেবে দেখছে। তবে বিষয়টি মানতে রাজি নন আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya)। তিনি পাল্টা খোঁচা দিয়েছেন বাংলার শাসক দলকে।
এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, রাজ্য মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত নিয়ে সিবিআই তদন্ত চালানো যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় আঘাত হানে। পাশাপাশি, অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি বেআইনি নয়। রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন সাপেক্ষে শিক্ষা দফতর বা এসএসসি এই ধরনের পদ সৃষ্টি করতেই পারে। স্বাভাবিকভাবেই শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে বাড়তি অক্সিজেন দিয়েছে। তবে বিকাশের দাবি, এই রায়ে জয়ের কিছু নেই। তৃণমূল সরকার যে দুর্নীতিগ্রস্ত, তা কেউ খণ্ডাতে পারবে না।
বিকাশ রঞ্জন বলছেন, ''তাঁরা তো নিজেদের জয়ী ভাববেই। গোটা ক্যাবিনেটটাই জেলে চলে যাবে, তা থেকে মুক্ত হলেন তাঁরা। তাই ভাবছেন এটা তাঁদের জয় হল। দুর্নীতিমূলক নিয়োগ নিয়ে কোনও জয় নেই। জেলে যাওয়া থেকে বাঁচবার জন্য জয়। এটাকে ওরা সত্যিই জয় মনে করতে পারে।'' সোমবার আবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যারা চাকরি হারিয়েছেন তাঁদের সভাতে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে থেকে তিনি বলেছেন, বেঁচে থাকলে কারও চাকরি যেতে দেবেন না। বিকাশের অভিযোগ, চাকরিহারাদের ভুল পথে পরিচালিত করছেন মমতা।
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেই এসএসসি মামলায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এই রায় তাঁরা মানতে পারেননি বলেই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও বিকাশ রঞ্জন শুরু থেকেই বলে আসছেন, এই পরিস্থিতির জন্য তৃণমূল সরকারই দায়ী। দুর্নীতির দায়ে তাঁদেরই নিতে হবে। এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ফের একবার এই কথাই বললেন তিনি।
বিকাশের সাফ বক্তব্য, ''শিক্ষাব্যবস্থার ওপর প্রভাব উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) তৈরি করেছেন। যখন টাকা নিয়ে চাকরি দিচ্ছিলেন তখন মনে হয়নি শিক্ষাব্যবস্থার ওপর প্রভাব পড়বে? আজও তিনি স্বীকার করছেন যে টাকা নিয়েই চাকরি দিয়েছেন। এখন চাকরিহারাদের ভুল পথে পরিচালিত করছেন।'' বিকাশ এও মনে করেন, ২৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষাব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে গেলেও বড়সড় প্রভাব পড়বে না। বরং তাঁরা থাকলে সমাজব্যবস্থার ওপর প্রভাব পড়বে। কারণ প্রজন্মের পর প্রজন্ম জানবে তাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন।