বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: 5 April 2025 15:56
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যোগ্য-অযোগ্য (SSC Job Cancel) ঝাড়াই বাছাই করা সম্ভব বলে মনে করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Ganguly)। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘাড়ে দায় ঠেলে তমলুকের বিজেপির সাংসদ (BJP MP) এ কথাও বলেন যে মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছে করে জট ছাড়াতে চাননি বলেই সুপ্রিম কোর্ট প্রায় ২৬ হাজার স্কুল শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীর চাকরি বাতিল করেছে। ছেলে-মেয়েদের সর্বনাশ হয়ে যাওয়ার পর যখন মুখ্যমন্ত্রী যোগ্যদের চাকরি দেওয়ার উপায় খুঁজছেন, তখন দ্য ওয়ালকে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও (Bikash Ranjan Bhattacharya) বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিজিতের দাবি অবিবেচকের মতো। দুর্নীতি মানে দুর্নীতিই, তাতে যোগ্য-অযোগ্য আলাদা করা যায় না।
শনিবার বিকাশবাবু বলেন, "অত্যন্ত অবিবেচকের মতো কথা বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে ভাবনা চিন্তা না করেই বলেছেন। এমন কথা বলা মানে হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের আদেশকে অমান্য করা, এবং এটা করা মানে হচ্ছে ক্রিমিনাল কনটেম্পট। ওঁর এই বক্তব্যকে আদৌ গ্রহণযোগ্য বলে মনে করি না।"
স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে অভিজিৎই প্রথম সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এখন বিজেপি সাংসদ। সংসদে চত্বরেও তাঁকে বলতে শোনা যায়, "যে সাড়ে পাঁচ বা ছ'হাজার চাকরিপ্রার্থী ঘুষ দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের আলাদা করা যেত। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, প্রাক্তন বিচারপতি পরামর্শ দিয়েছিলেন, এই জট ছাড়াবেন না। তা হলে সুপ্রিম কোর্ট বাধ্য হবে সকলের চাকরি বহাল রাখতে। এই জন্যই এত ছেলে-মেয়ের সর্বনাশ হয়ে গেল।"
কিন্তু বিকাশবাবুর বক্তব্য, "গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়াটাই দুর্নীতিগ্রস্ত। প্রক্রিয়া যখন জন্ম থেকেই দুর্নীতিগ্রস্ত হয়, তখন তার ফসল হিসেবে কে যোগ্য, কে অযোগ্য তা নির্ণয় করার কোনও দরকারই নেই। সাংবিধানিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সেই প্রয়োজনও পড়ে না। একমাত্র রাজ্য সরকার যদি প্রথমেই বলত যে তাদের ভুল হয়ে গেছে, আমরা স্বচ্ছভাবে নিয়োগ করব তাহলে এই সমস্যাই তৈরি হত না। আজকে যে মানবিকতা, দুঃখের কথা উঠছে, চাকরিহারাদের কেউ কেউ আত্মহত্যা করার চেষ্টা করছেন, এর জন্য সম্পূর্ণ দায়ী রাজ্য সরকার।"