দ্য ওয়াল ব্যুরো: উৎসবেও পথে চাকরিপ্রার্থীরা। লক্ষ্মীপুজো, কালীপুজো,  দীপাবলির পর এবার ধর্নাস্থলে ভাইফোঁটা পালন করলেন চাকরিপ্রার্থীরা। মঙ্গলবার ধর্মতলায় চাকরিপ্রার্থীদের হাতে ফোঁটা নেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। 

৯৭৫ দিনে পড়ল এসএলএসটি ২০১৬ নবম-দশমের বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন। রাজ্যে একের পর এক উৎসব যখন চলছে, তখনও তাঁরা রাস্তাতেই দিন কাটাচ্ছেন। মঙ্গলবার এই ধর্নামঞ্চেই ভাইফোঁটা পালন করা হয়। আন্দোলকারী মেয়েরা ভাইফোঁটা দেন। গান্ধীমূর্তির পাদদেশে নিজেদের মধ্যে অনুষ্ঠানটি পালন করেন তাঁরা। বিকেলে সেখানে যান সেলিম। তাঁকেও ভাইফোঁটা দেন কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। একই মঞ্চে পাশাপাশি বসে থাকতে দেখা যায় কংগ্রেস নেতা আশুতোষ চ্যাটার্জিকেও। 

যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ চাই, এই দাবিকে সামনে রেখেই ভাইফোঁটার আয়োজন করেন চাকরিপ্রার্থী মহিলারা। প্রতিবাদ মঞ্চের মাঝেই মহিলারা শঙ্খ বাজিয়ে, উলু দিয়ে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। পুরুষ ও মহিলা উভয়েই যে এই আন্দোলনের সহযোদ্ধা তা বোঝাতেই ভাইফোঁটার আয়োজন করা হয় বলে জানিয়েছেন এক চাকরিপ্রার্থী। অন্যদিকে, ফোঁটা নেওয়ার পর সেলিম বলেন, 'উৎসবের দিনগুলিতে আমি ওদের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করি। আদালতের বাইরেও আমরা দ্রুত নিয়োগের জন্য লড়াই করে যাচ্ছি।"

এসএলএসটি-তে চাকরির জন্য ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন । কিন্তু সেই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে যে চাকরি দেওয়া হয়েছিল, সেখানে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। মামলা হয় হাইকোর্টে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার। সেই চাকরি পান ববিতা সরকার। যদিও পরে তাঁর চাকরিও বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। আদালতে এখনও এসএলএসটি মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। এদিকে হকের চাকরির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন ২০১৬ সালের চাকরিপ্রার্থীরা। কখনও প্রেস ক্লাবের সামনে অনশন করেছেন, কখনও আবার সেন্ট্রাল পার্কে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়েছেন। এখন আন্দোলনকারীদের ঠাঁই হয়েছে ধর্মতলার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে।