শেষ আপডেট: 10th June 2023 10:51
১ দিন সংসার করেই স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ! 'আইনের চূড়ান্ত অপব্যবহার!' দাবি কোর্টের
দ্য ওয়াল ব্যুরো: চার বছর প্রেমের পর বিয়ে। কিন্তু দাম্পত্যের মেয়াদ মাত্র একদিন। বিয়ের একদিন পরেই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে আসেন তরুণী। তারপর দীর্ঘদিন আলাদা থাকার পর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে নির্যাতন এবং স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করলেন তিনি। সেই মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়ে আদালত (Karnataka High Court) জানাল, এটি আইনের অপব্যবহারের সেরা উদাহরণ (Best Example Of Abuse Of Law)।
ঘটনাটি কর্নাটকের। জানা গেছে, বেঙ্গালুরুতে একটি বহুজাতিক সংস্থার কাজ করার সময় পরিচয় হয় যুগলের। চার বছর প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ থাকার পর গত ২৭ জানুয়ারি আইনিমতে বিয়ে সারেন দুজনে। কিন্তু বিয়ের পরেই নাকি স্ত্রীর পুরনো প্রেম এবং সেই প্রেমিকের সঙ্গে তখনও যোগাযোগ রাখার কথা জানতে পারেন স্বামী। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে তুমুল কথা কাটাকাটি হয় পরের দিন। ফলস্বরূপ, তারপর দিন অর্থাৎ ২৯ তারিখ শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে আসেন তরুণী।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এরপর টানা ৩২ দিন অর্থাৎ ১ মার্চ পর্যন্ত স্বামীর সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ ছিল না স্ত্রীর। তা সত্ত্বেও স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন তরুণী। কিন্তু সেই মামলাকে চ্যালেঞ্জ করে কর্নাটক হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেন তাঁর স্বামী।
হাইকোর্ট সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, পুলিশের কাছে দায়ের করা মহিলার অভিযোগ থেকে জানা যাচ্ছে, বিয়ের রাতে ঠিক কী ঘটেছিল তা নাকি তিনি নিজেই জানতেন না। তরুণীর দাবি, তিনি সেই রাতে মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। এমনকী, ম্যারেজ রেজিস্ট্রারের কাছে কোনও কাগজে সই করেছিলেন কিনা সে ব্যাপারেও কিছু মনে করতে পারছেন না বলে দাবি করেছেন তিনি।
তরুণীর আরও অভিযোগ, পুরনো সম্পর্কের কথা জানতে পারার পর থেকেই স্বামী নির্যাতন করতেন তাঁকে। তাঁর আরও দাবি, বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও উপরিউক্ত পরিস্থিতিতে স্বামীর সঙ্গে কোনও রকম শারীরিক সম্পর্ক ধর্ষণেরই সমতুল্য।
যদিও তরুণীর স্বামী দায়ের করা পিটিশনের মামলার শুনানিতে আদালত জানিয়েছে , অভিযোগকারিণী নিজে চার বছর ধরে সম্পর্কে থাকার পর বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পর মাত্র দু'দিন একসঙ্গে থেকেই ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন তিনি। এবং তাঁর অভিযোগ যে শুধু স্বামীর বিরুদ্ধে, তা নয়। বরং সেদিন বরপক্ষের যে সমস্ত আত্মীয়রা বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন তাঁদের প্রত্যেককেই এই অপরাধের জালে টেনে আনা হয়েছে বলে দাবি আদালতের।
অভিযোগকারিণীর স্বামীর দায়ের করা পিটিশানের ভিত্তিতে আপাতত এই মামলায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছে কর্নাটক হাইকোর্ট।
ট্রাম্পের বাথরুমে বান্ডিল বান্ডিল ফাইল, কমোডের পাশে গড়াগড়ি খাচ্ছে পারমাণবিক কর্মসূচির নথি