শেষ আপডেট: 13th April 2024 18:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শুক্রবার নিউ দিঘার হোটেল থেকে বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণের দুই মূল চক্রীকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। তবে শুধু দিঘাই নয়, গত একমাস ধরে বাংলায় একাধিক জায়গায় ঘাঁটি গেড়েছিল দুই অভিযুক্ত। পুলিশের চোখকে কার্যত ফাঁকি দিয়েই ধর্মতলা, খিদিরপুর, একবালপুর হয়ে নিউ দিঘার হোটেলে গিয়ে ওঠেন তাঁরা। গা ঢাকা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করেন জাল আধার কার্ড, কমপক্ষে ১০ থেকে ১২টি সিম কার্ড। তদন্তে গোয়েন্দাদের হাতে এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।
বেঙ্গালুরু ক্যাফে বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই আইসিস জঙ্গি মুসাভির হুসেন সাজিব এবং আব্দুল মতিন আহমেদ ত্বহাকে গ্রেফতার করেছে এনআইএ। শুক্রবার নিউ দিঘা থেকে তাঁদের গ্রেফতারের পরই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। ইতিমধ্যে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, শহরের প্রাণকেন্দ্রে বেহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়ান অভিযুক্তরা। অটো-বাসে চেপে কখনও চাঁদনি চকে যান মোবাইল সারাই করতে , আবার কখনও হোটেলের খোঁজ করতে।
সূত্রের খবর, গত ১২ মার্চ থেকে ১৪ মার্চ ধর্মতলা ও লেনিন সরণির দুটি হোটেল বদল করে রাত কাটিয়েছিলেন দুই অভিযুক্ত। এরপর ২১ থেকে ২৮ মার্চ খিদিরপুর ও একবালপুরের হোটেলে ছিলেন তাঁরা। এর মাঝের সময় অর্থাৎ ১৪ থেকে ২১ মার্চ ওই দু’জন কোথায় ছিলেন, সেবিষয়ে অবশ্য এখনও তদন্তকারীদের হাতে তথ্য আসেনি। এরপর ২৮ মার্চ দুপুরের পর তাঁরা বাসে করে দিঘায় চলে যান।
এনআইএ সূত্রের খবর, ব্যাঙ্গালোরের রামেশ্বরম কাফেতে বিস্ফোরণে অভিযুক্তরা ১০ টিরও বেশি মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেছে। চার রাজ্যে গা ঢাকা দিতে ব্যবহার করেছে একাধিক জাল আধার কার্ড। ভুয়ো পরিচয়পত্রের সংখ্যাটা ঠিক কত, সেগুলি কোথায় কোথায় ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। জঙ্গিদের আধার কার্ডে কর্ণাটক, তামিলনাড়ু ও মহারাষ্ট্রের ঠিকানা মিলেছে। এমন কতগুলি আধার কার্ড জঙ্গিরা তৈরি করেছিল, তা তদন্তে করে জানতে চায় এনআইএ।
এনআইএ কর্তাদের দাবি, বেঙ্গালুরু বিস্ফোরণের ১১ দিন পর কলকাতায় এসেছিল দুই মূল অভিযুক্ত। সূত্রের খবর, বেঙ্গালুরুতে বিস্ফোরণ ঘটানোর পর চেন্নাই থেকে ট্রেনে চড়ে কলকাতায় পৌঁছয় তাঁরা। নাম ভাঁড়িয়ে কলকাতায় একের পর এক হোটেলে আস্তানা বদলায় তারা। পুলিশ-গোয়েন্দাদের চোখে ধুলো দিয়ে শহর কলকাতায় আত্মগোপন করে ছিল। এরপর ২৮ মার্চ সেখান থেকে সোজা পাড়ি দেয় দিঘায়। অবশেষে শুক্রবার এনআইএ-র জালে ধরা পড়ে যান তাঁরা।