শেষ আপডেট: 22nd November 2021 06:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো : রবিবার রাত থেকে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে দক্ষিণের দুই রাজ্য তামিলনাড়ু ও কর্নাটকে (Tamilnadu and Karnatak)। তার ফলে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বেঙ্গালুরুর উত্তরের কয়েকটি অঞ্চল এবং চেন্নাইয়ের মানালি এলাকা। মানালির কয়েকটি বাড়িতেও ঢুকেছে জল। চেন্নাইয়ের অদূরে কোসাসথালাইয়া নদী প্লাবিত হয়ে মফস্সল এলাকা ভেসে গিয়েছে। অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তোর শহরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই প্লাবনে। চেন্নাইয়ের কয়েকটি অঞ্চলে এখন নৌকা চলছে। আল্লাসান্দ্রা হ্রদ উপচে পড়ে বেঙ্গালুরুর অবস্থা হয়ে পড়েছে শোচনীয়। হ্রদের আশপাশের এলাকা হয়ে পড়েছে জলমগ্ন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলহানকা, নাগাওয়ারা, কোগিলু ক্রস ও বিদ্যারণ্যপুরা অঞ্চল। গত ২৪ ঘণ্টায় এলহানকা অঞ্চলে বৃষ্টি হয়েছে ১৩৪ মিলিমিটার। গত সপ্তাহ থেকে প্রবল দুর্যোগের কবলে পড়েছে দক্ষিণ ভারত। গত বৃহস্পতিবার থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে অন্ধ্রপ্রদেশে। তাতে অন্নমায়া বাঁধ প্রকল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবার জানা যায়, রাজ্যে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে রাজ্যে মারা গিয়েছেন ১৭ জন। নিখোঁজ হয়েছেন শতাধিক। তিরুপতি শহরে তোলা ভিডিও চিত্রে দেখা গিয়েছে, প্রবল বন্যার মধ্যে আটকে পড়েছেন কয়েকশ তীর্থযাত্রী। তিরুপতি মন্দির তিরুমালা পাহাড়ের ওপরে অবস্থিত। বৃষ্টিতে জল জমে পাহাড়ে ওঠার রাস্তাগুলি বন্ধ রয়েছে। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে রাজ্য পরিবহণের তিনটি বাস। বাসগুলির ২০ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। বন্যাদুর্গত অঞ্চলে ত্রাণের জন্য পাঠানো হয়েছে ন্যাশনাল ও স্টেট ডিজাস্টার রিলিফ টিম। বৃষ্টিতে সড়ক ও রেল পরিবহণ বিঘ্নিত হচ্ছে। কাদাপা বিমান বন্দরও ২৫ নভেম্বর অবধি বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। রাজ্যে রয়ালসীমা অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এর আগে নভেম্বরের শুরুতে প্রবল বর্ষণে জলবন্দি হয়ে পড়ে চেন্নাই। তামিলনাড়ুর রাজধানী শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা চলে যায় জলের তলায়। দু’দিনের জন্য স্কুল, কলেজ, অফিস-কাছারি বন্ধ রাখা হয়। চেন্নাইয়ের পাশের তিনটি জেলারও প্রবল বৃষ্টিপাতে অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা, ত্রাণ ও উদ্ধার বাহিনীকে (এডিআরএফ) মোতায়েন করা হয় মাদুরাই, কুড্ডালোরে। মাদ্রাজ হাইকোর্টে কাজ চলতে থাকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে। তামিলনাড়ুর বিপর্যস্ত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গে কথা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। রাজ্যের এই দুঃসময়ে ত্রাণ ও উদ্ধারকার্যে কেন্দ্রের তরফে সবরকম সহায়তার আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী। বৃষ্টিকবলিত এলাকার লোকজনের নিরাপত্তার জন্য প্রার্থনা করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী নিজে জলমগ্ন এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন।