শেষ আপডেট: 2nd September 2024 11:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আর জি কর কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদে শামিল হননি অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক। তাঁর তৃতীয় ও বর্তমান স্ত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ সোশ্যাল মিডিয়ায় দু-একটা পোস্ট করেছিলেন অবশ্য। ১৪ অগস্ট মেয়েদের রাত দখলের রাতেও হেঁটেছিলেন রাস্তাতে। তবে কাঞ্চন বা শ্রীময়ী ছিলেন না ছোট পর্দা বা বড় পর্দার শিল্পীদের ডাকা প্রতিবাদ মিছিলে। সেই কাঞ্চন যখন আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের প্রতিবাদী কর্মবিরতি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন, তখন আর বন্ধুর উদ্দেশে চাঁচাছোলা পোস্ট করে তাঁকে ‘ত্যাজ্য’ করলেন অভিনেতা সুদীপ্তা চক্রবর্তী।
সুদীপ্তা জানিয়েছেন, কাঞ্চন তোকে ত্যাগ দিলাম। অনুপ্রেরণার লকারে চোখ, কান, মাথা, মনুষ্যত্ব, বিবেক, বুদ্ধি, বিবেচনা, শিক্ষা সব ঢুকিয়ে রেখে চাবিটা হারিয়ে ফেলেছিস মনে হয়। চাবিটা খুঁজে পেলে খবর দিস বন্ধু। তখন আবার কথা হবে, আড্ডা হবে।
সেই আর জি করে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদ করে ও নির্যাতিতার বিচার চেয়ে, রবিবার শহরজুড়ে ছিল মহামিছিল। যাতে শুধু সাধারণ মানুষ নয়, পা মিলিয়েছিলেন বেশ কিছু সিনে-টেলি তারকা। ছিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, সোহিনী সরকার, দিতিপ্রিয়া রায়, উষসী চক্রবর্তী, সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়রা। এমনকী, ধর্মতলায় সারা রাত জেগে ধরনাও দেন তাঁরা। এরই মাঝে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ঝড় উঠেছে। কাঞ্চনের প্রশ্ন, কর্মবিরতিতে থাকা সরকারি কর্মচারিরা কি বেতন বা বোনাস নেন না?
সেই ইস্যুতে এবার কাঞ্চন মল্লিককে একহাত নিলেন অভিনেতা সুদীপ্তা চক্রবর্তী। তাঁর জবাব, মাননীয় বিধায়ক শ্রীকাঞ্চন মল্লিক, এটা আপনি কী বললেন? কর্মবিরতিতে থাকা ডাক্তাররা সরকারি চাকরি করেন বলে তাঁদের কর্মস্থলে দিনের পর দিন ধরে ঘটে যাওয়া, সরকারের অন্যায় কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবেন না? সরকারি পদক্ষেপ নিয়ে হতাশা বা উষ্মা প্রকাশ করতে গেলে একজন সরকারি চাকুরিজীবীর মাইনে নেওয়া যাবে না?
বিচারের দাবিতে মিছিলে গিয়েছেন বলে তাঁদের পুজোর আগে প্রাপ্য বোনাস নিয়ে তাচ্ছিল্য করে বলবেন, বোনাস টোনাস যে হয়, সেটা নেবেন তো, না নেবেন না? সুদীপ্তা লিখেছেন, চাকরি শব্দটা তো আপনি literally নিয়ে নিয়েছেন মশাই! সরকারি হাসপাতালে সরকারি কর্মচারীর নৃশংসভাবে ধর্ষিত ও খুন হয়ে যাওয়া তিলোত্তমার মা-বাবাকে মেয়ে আত্মহত্যা করেছে বলা হল কেন? এই প্রশ্ন করার আগে সরকারি পুরস্কার ফেরত দিয়ে দিতে হবে? না, মানে, বিবেকের তাড়নায় কেউ ফেরত দিতেই পারেন। কিন্তু সেটাই প্রাকশর্ত নাকি কোনও পুরস্কারের?
সুদীপ্তা ঠেস মেরে আরও বলেন, দেওয়ালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি ঝুলিয়ে রেখে এই নির্লজ্জ কমেডি করার আগে একবারও ভাবলেন না? আপনার কমেডি অভিনয়ই কিন্তু মানুষের মনে একদিন আপনার পাকাপাকি স্থান দিয়েছিল। আমিও তার ফ্যান। কিন্তু আজ যেটা করলেন, ওটা কমেডিও হয়নি, অভিনয়ও হয়নি। ওটা কিছুই হয়নি। আপনার শুভবুদ্ধির উদয় হোক শিগগিরই, এই কামনা করি।
উত্তরপাড়ার বিধায়ক কাঞ্চনের সমালোচনায় আরও লেখেন সুদীপ্তা। এই সরকারি পুরস্কার অনুষ্ঠানগুলোয় আমার বহু বছর যাওয়া হয়ে ওঠে না। আচ্ছা, ওখানে পুরস্কার দেওয়ার আগে কি এইগুলো বলে দেওয়া হয়? মানে পুরস্কার পাওয়ার পরে কী করব, কী করব না-গুলো কী ও কয় প্রকার....? জানতে চাইছি আর কী!