শেষ আপডেট: 5th February 2025 16:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলায় বিনিয়োগের পরিমাণ দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিলেন বিশ্বের অন্যতম ধনকুবের শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি। বুধবার বঙ্গ বিশ্ব বাণিজ্য সম্মেলনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতিথি হিসেবে মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিনিয়োগের পরিমাণ দ্বিগুণ করার কথা জানালেন মুকেশ। সেই সঙ্গে জানিয়ে দিলেন বাংলায় তাঁর কোম্পানি ৫০,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে চলেছে আগামিদিনে। সেই লক্ষ্যে এদিন মুকেশ পাঁচটি লক্ষ্য বা বিনিয়োগের গতিপথও বাতলে দেন।
বক্তব্যের শুরুতেই মুকেশ আম্বানি কলকাতা ও বাংলার মানুষ সহ খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূরি ভূরি প্রশংসা করেন। মা কালী থেকে রবীন্দ্র-নজরুল, সুভাষচন্দ্র, হেমন্ত, সত্যজিৎ রায়– প্রমুখের নামোল্লেখ করেন রিলায়েন্স কর্তা। তিনি বলেন, বাংলা হল নবজাগরণের জায়গা। দেশে বিভিন্ন সময়ে এই মাটি থেকেই নবজাগরণের ডাক উঠেছে। তেমনই আজ শিল্পক্ষেত্রে বাংলায় নবজাগরণ ঘটেছে। এবং তা হয়েছে এখানকার মুখ্যমন্ত্রী বা নেত্রী মমতাদি বলে। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের কোনও শক্তি বাংলার পুনরুত্থান আটকাতে পারবে না। সারাক্ষণ মমতাদিদির প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন আম্বানি।
এমনকী মমতা নামের মাহাত্ম্য ব্যাখ্যা করে বলেন, অক্লান্ত নেত্রী তিনি। মমতা মানেই সহানুভূতি, আর দিদির অর্থ এক বিরামহীন নেত্রী। যিনি সকলের জন্য অবিশ্রাম লড়াই চালিয়ে যান। বাংলায় দ্বিগুণ বিনিয়োগের ঘোষণা করে জোর দেন জিও মোবাইল নেটওয়ার্ক, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ক্ষেত্রকেও। তিনি জানান, এখানেই তৈরি হবে এআই ডেটা সেন্টার। স্বদেশ নামে একটি স্টোর খোলার কথা জানিয়ে বলেন, জামদানি, মুর্শিদাবাদি সিল্ক, বিষ্ণুপুরী বালুচরী, মসলিন, কাঁথা স্টিচের কারুকাজ ও শিল্পকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়া হবে। একইভাবে জানান, কালীঘাট মন্দির সংস্কারের আর্থিক সাহায্যের কথাও।
তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালে প্রথমবার বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে শামিল হয়েছিলেন তিনি। ধাপে ধাপে বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে ২০ গুণ। কর্মসংস্থান হয়েছে ১ লক্ষ মানুষের। মুকেশ আম্বানি স্বীকার করেন, বাংলা থেকেই পথচলা শুরু করেছিল জিও। যা এখন দেশের মধ্যে একনম্বরে। বাংলায় এখনও পর্যন্ত জিও স্টোর রয়েছে ১৩০০ টি। আগামী বছর আরও ৪০০ স্টোর হবে বলেই জানান রিলায়েন্স কর্তা। এর পাশাপাশি এআই রেডি ডেটা সেন্টার হবে। দিঘায় হবে কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন।
উৎপাদন শিল্পে বাংলায় জোয়ার আনতে তিনি গ্রিন এনার্জি তৈরি বা সৌর বিদ্যুৎ তৈরির উপর জোর দেন। মুকেশের কথায়, সোনার বাংলার জন্য সোলার বাংলা তৈরিই লক্ষ্য রিলায়েন্সের। সব মিলিয়ে ডিজিটাল উন্নয়নে বাংলাই পূর্ব ভারতকে নেতৃত্ব দেবে বলেই মন্তব্য করেন মুকেশ।