বছর চারেক আগে হিমাচল প্রদেশ থেকে অনলাইনের কিছু আপেল গাছ এনে বসিয়েছিলেন বাগানে। গাছের বয়স যখন মাত্র দুই বছর, তখনই শুরু হয়েছিল ফলন। তবে ২০২৫ সাল যেন ইতিহাস গড়ল।
রূপেশবাবুর বাড়ির গাছে উপচে পড়ছে আপেল
শেষ আপডেট: 23 May 2025 12:46
এক টুকরো হিমাচল যেন নেমে এসেছে বাংলার বুকে। মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা পুরসভার বাসিন্দা, স্কুল শিক্ষক রূপেশ দাসে বাড়ির বাগানে আপেলের ভারে নুইয়ে পড়ছে গাছ। চলতি বছরে তাঁর আপেল গাছে হয়েছে নজিরবিহীন ফলন।
বছর চারেক আগে হিমাচল প্রদেশ থেকে অনলাইনের কিছু আপেল গাছ এনে বসিয়েছিলেন বাগানে। গাছের বয়স যখন মাত্র দুই বছর, তখনই শুরু হয়েছিল ফলন। তবে ২০২৫ সাল যেন ইতিহাস গড়ল। এবছর রূপেশবাবুর বাগানের আপেল গাছগুলিতে উপচে পড়ছে ফল। হয়েছে বাম্পার ফলন। গাছে গাছে থোকা থোকা লালচে সবুজ আপেল দেখে বিস্মিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
রূপেশবাবুর বাগানে বর্তমানে রয়েছে হিমাচলের তিনটি জনপ্রিয় জাতের আপেল—HRMN 99, Anna এবং Dorset Golden। রূপেশবাবু জানালেন, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফলন দিয়েছে Anna প্রজাতির আপেল। আপেলের গুণগত মান এতটাই উন্নত যে, অনেকেই তুলনা করছেন আসল হিমাচলের আপেলের সঙ্গে। আর এতেই দারুণ খুশি তিনি। তাঁর আপেল বাগান দেখতে ইতিমধ্যেই ভিড় জমাচ্ছেন আশেপাশের বহু মানুষ। রূপেশবাবু বলেন, "আরও কিছু উন্নত জাতের আপেল, বিশেষ করে কেনিয়ার Wambugu চাষ করার ইচ্ছে রয়েছে। পাশাপাশি আঙুর চাষও করতে চাই। তার জন্য চাষোপযোগী জমি খুঁজছি।"
শিক্ষকের স্ত্রী রাজশ্রীও স্বামীর প্রকল্পের সরিক। তাঁর কথায়, "বাগানে এবার ফলন এত ভাল হয়েছে যে সবাই আপেল দেখতে আসছেন। এর পিছনে আছে আমার স্বামীর অনেক যত্ন আর পরিশ্রম। বাগানে এসে সত্যিই মন ভাল হয়ে যায়।"
বছরের শুরুতে নিজের বাগানে কাশ্মীরি টিউলিপ ফুটিয়ে স্থানীয়দের চমকে দিয়েছিলেন রূপেশবাবু। এবার আপেল চাষেও তিনি দেখালেন যে সঠিক পরিকল্পনা, যত্ন ও পরিশ্রম থাকলে বাংলার মাটিতেও সম্ভব পাহাড়ি ফলের সাফল্য।