দ্য ওয়াল ব্যুরো : গত জুন মাসে বেজিং শহরে বেশ কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হন। তখনই আশঙ্কা দেখা দেয়, চিনে হয়তো অতিমহামারীর 'সেকেন্ড ওয়েভ' শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে চিন সরকার জানাল, গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে একজনও করোনায় আক্রান্ত হননি।
জুনের শুরুতে বেজিং-এর শিনফ্যাডি পাইকারি বাজারে ৩৩৫ জন করোনায় আক্রান্ত হন। মঙ্গলবার বেজিং-এর হেলথ কমিশন জানিয়েছে, সোমবার সেখানে মাত্র একজন করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। তাঁর শরীরে কোনও উপসর্গ ছিল না। উপসর্গহীন রোগীদের চিনে করোনা আক্রান্তদের তালিকায় যুক্ত করা হয় না।
বেজিং-এ কীভাবে দ্বিতীয় দফায় করোনা ছড়িয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, শিনফ্যাডি মার্কেটে যেখানে স্যালমন মাছ কাটা হয় সেখান থেকেই প্রথম করোনা সংক্রমণ হয়েছিল। ওই স্যালমন মাছ এসেছিল বিদেশ থেকে। এরপরেই কয়েকটি পণ্যের আমদানি বন্ধ করে দেয় চিন। বিদেশ থেকে খাদ্যদ্রব্য আমদানির ওপরে কড়া নজরদারি চালানো হতে থাকে।
১১ জুন থেকে বেজিং-এ ১ কোটি ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষের করোনা টেস্ট করা হয়েছে। সোমবার নগর প্রশাসন থেকে বলা হয়, শহরের মোট বাসিন্দার অর্ধেকের টেস্ট করা হয়েছে। জুনে শহরের টেস্টিং সেন্টারগুলির সামনে দীর্ঘ লাইন পড়েছিল। প্রতিদিন প্রায় ১ লক্ষ মানুষের স্যাম্পেল টেস্ট করা হয়েছে। শহরের কয়েকটি এলাকায় লকডাউন করে দেওয়া হয়েছিল। পরে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। বেজিং-কে এখন ধরা হচ্ছে 'লো রিস্ক সিটি'। সেখানে মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেন।
শহরের সেন্টার অব ডিজিজ কন্ট্রোলের ডেপুটি ডিরেক্টর প্যাং শিংহুও বলেন, বেজিং-এ করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে। বেজিং-এ নতুন করে করোনা দেখা দেওয়ার মাসখানেক আগেই চিনে অতিমহামারী নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। রাজধানীতে ফের ওই রোগ দেখা দেওয়ার পরে সরকার নিকটবর্তী হেবেই প্রদেশেও লকডাউন জারি করে। সেখানে প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ লকডাউনের আওতায় পড়েছিলেন।