শেষ আপডেট: 14th March 2025 12:07
দ্য ওযাল ব্যুরো: সর্ষের মধ্যেই ভূত! অনলাইন প্রতারণার (Online Fraud) নেপথ্যে ব্যাঙ্কের একাংশ অস্থায়ী কর্মী?
কারও অভিযোগ নয়! সম্প্রতি ডিজিটাল প্রতারণার তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় সরকারকে এমনই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সূত্রের দাবি, ওই রিপোর্টে প্রতারণার জন্য ব্যাঙ্কের আউটসোর্সিং স্টাফ ও ব্যাঙ্কে কাজের বরাত পাওয়া ‘থার্ড পার্টি’ সংস্থার কর্মীদের একাংশকে দায়ী করা হয়েছে।
সে কারণে ‘থার্ড পার্টি’ সংস্থার কর্মীদের হাতে গ্রাহক সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি না দেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসেছে কেন্দ্র। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত চার বছরে সাইবার জালিয়াতি করে প্রতারকরা ৩৩ হাজার ১৬৫ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এর মধ্যে ২০২৪ সালেই সাইবার জালিয়াতিরা হাতিয়ে নিয়েছে ২২ হাজার ৮১২ কোটি টাকা। যা যথেষ্ট উদ্বেগের।
কীভাবে জালিয়াতি হচ্ছে?
ঘটনার তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লেনদেনের নোটিফিকেশন (যেগুলি মোবাইলে আসে)-সহ বিভিন্ন কাজের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি সব ব্যাঙ্কই আউটসোর্সিং স্টাফ (অস্থায়ী কর্মী) তথা বাইরের বিভিন্ন এজেন্সিকে দায়িত্ব দেয়।
গোয়েন্দাদের দাবি, ওই অস্থায়ী কর্মীদের একাংশ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে গ্রাহকদের গুরুত্বপূর্ণ নথি পেয়ে যাচ্ছে। গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট ও ফোন নম্বর-সহ বিভিন্ন গোপন তথ্য তারাই মোটা টাকার বিনিময়ে সাইবার জাালিয়াতিদের হাতে তুলে দিচ্ছে। তারই জেরে অনলাইন প্রতারণা মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়ে গেছে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। এক্ষেত্রে ব্যাঙ্কের একাংশ কর্তার যোগসাজশের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা।