শেষ আপডেট: 29th July 2024 15:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: ভোলাকে দেখলে মনে হবে ভাজা মাছ উল্টে খেতে পারে না। কিন্তু গোটা গ্রামের ত্রাস সে। তার দাপট গ্রামবাসীদের ঘুম ছুটিয়েছে। জেলাপ্রশাসনের কাছে তার বিরুদ্ধে ভূরি ভূরি অভিযোগ জমা। এমনকী অতিষ্ঠ মানুষ রাজ্যের মন্ত্রীর কাছে নালিশ জানিয়েছেন। তবু ভোলা তাণ্ডব একটুও কমেনি। ভোলার বেলাগাম হামলায় তটস্থ ভাতার ব্লকের মাহাত গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুর ১ নম্বর কলোনি। ভোলা আসলে মালিকানাহীন কালো ষাড় গরু।
মাস ছয়েক আগে ভোলার আগমণ ঘটে এই গ্রামে। পরিত্যক্ত অবস্থায় তাকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে গ্রামের বাসিন্দারা যত্ন করতে শুরু করেন। আদর করে নাম রাখেন "ভোলেবাবা"। ভালই কাটছিল সবকিছু। তবে ধীরে ধীরে ভোলার "মুড সুইং" সঙ্গে পরিচিত হতে থাকেন গ্রামবাসীরা। মাঝে মধ্যে পথে কাউকে দেখতে পেলে গুঁতোতে তেড়ে যায় সে। ইতিমধ্যে গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দাকে জখম করেছে সে। মনোরঞ্জন বৈরাগী, মহেন্দ্র ঘোষ তাঁদেরই মধ্যে একজন। আবার বেশ কয়েকটি নিরীহ গবাদি পশু প্রাণ গিয়েছে ভোলার হামলায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রথম দিকে ভোলাকে দেখে তাঁরা নিরীহই মনে করতেন। কিন্তু পরে জমির ফসল ও অন্যান্য গাছপালার অনিষ্ট করতে শুরু করে। ফলে ধীরে ধীরে বাসিন্দারা ভয়ে ভোলাকে ফসলি জমির কাছে-পিঠে দেখলে তাকে তাড়া করতে। ক্রমে গ্রামবাসীদের সঙ্গে ভোলার জন্য সহানুভূতি কমতে থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন মিস্ত্রি জানান, তাঁর একটা গরু রয়েছে। ওই গরুকে খাবার দিতে গেলেই ভোলা তেড়ে আসছিল। শেষে পর্যন্ত গোয়ালে ঘরে আটকে রেখে খাবার দেওয়া হয়। এলাকার বাসিন্দা সুকান্ত বৈরাগীরা জানান, প্রশাসন অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে বড় দুর্ঘটনা ঘটে যাবে। ভোলার ভয়ে রাস্তায় বেরতেই ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সহ মহকুমা শাসক, অতিরিক্ত জেলা শাসক ও প্রাণিম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী সবাইকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। এর পাশাপাশি ব্লক প্রাণীসম্পদ বিকাশ আধিকারিককে বিষয়টি জানানো হয়েছে। ভাতারের বিডিও দেবজিৎ দত্ত জানান, খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।