শেষ আপডেট: 18th July 2021 15:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনাভাইরাস অতিমারীর মধ্যে সংক্রমণ উদ্বেগজনক ভাবে বাড়ছে কেরলে। গত বছর যে কেরল করোনার প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকটাই সফল হয়েছিল, চলতি বছরে দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে ছবিটা বেশ বদলেছে। অথচ সংক্রমণ বাড়়ছে দেখেও পিনারাই বিজয়ন সরকার আসন্ন বকরী ইদে তিনদিনের জন্য রাজ্যে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রবিবার যার তীব্র বিরোধিতা করল চিকিত্সকদের সর্বভারতীয় সংগঠন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। কেরলের বাম গণতান্ত্রিক সরকারের পদক্ষেপে অসন্তোষ প্রকাশ করে তারা জানিয়েছে, সরকার বিধিনিষেধ ঢিলেঢালা করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে তারা সুপ্রিম কোর্টে যাবে। রাজ্য কোভিড মোকাবিলায় যথার্থ আচরণবিধি কার্যকর না করে ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের রাশ টেনে ধরায় মডেল হয়ে না উঠলে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হবে তারা। বিজয়ন সরকারের লকডাউন সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিলের সিদ্ধান্তকে চলতি মেডিকেল জরুরি পরিস্থিতিতে অবাঞ্ছিত, ভ্রান্ত আখ্যা দিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আইএমএ বলেছে, অবিলম্বে সরকারি আদেশ প্রত্যাহার করে কোভিড আচরণবিধি পালনের প্রশ্ন জিরো টলারেন্স নীতি প্রয়োগ করতে হবে। রাজ্য তথা দেশের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিধিবদ্ধ কর্তব্য পালনের দায়িত্ব থেকে প্রশাসনকে বিচ্যুত না হতে কেরল সরকারকে আবেদন করেছে আইএমএ। বর্তমানে করোনাভাইরাস সংক্রমণে ভারতের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলির অন্যতম কেরলে এপর্যন্ত ৩০ লাখের বেশি কেস এসেছে, মারা গিয়েছেন ১৫ হাজার ২৬৯ জন। শনিবার রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ১৬১৪৮ জন, যা এক মাসে এখনও অবধি সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ। অথচ তার মধ্যেই রাজ্য সরকার ১৮, ১৯ ও ২০ জুলাই বকরী ইদে লকডাউন বিধিনিষেধে ছাড় ঘোষণা করেছে। আইএমএ বলেছে, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড ও জম্মু কাশ্মীরের মতো উত্তর ভারতের অনেক রাজ্যই বেশ কিছু প্রথা, ঐতিহ্যমন্ডিত তীর্থযাত্রা বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হল, কেরল বিধিনিষেধ শিথিল করতে রাজি হয়েছে, যার ফলে প্রচুর লোকের জমায়েত হবে। প্রসঙ্গত, কোভিড ১৯ মহামারী ছড়ানো রোধে কাঁওয়ার যাত্রা বন্ধ করে দিয়েছে উত্তরাখন্ড, উত্তরপ্রদেশ সরকার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা রাজ্যের বিজেপি নেতা ভি মুরলীধরণ ইতিমধ্যেই কেরল সরকারকে মহামারী ভাল করে মোকাবিলার পরামর্শ দিয়ে বলেছে, বকরী ইদ যেই এল, সরকার লকডাউনে তিনদিন ছাড় দিল। আমার প্রস্তাব, বৈজ্ঞানিক মানসিকতা নিয়ে ভারত সরকার, আইসিএমআর ও হু-র গাইডলাইন, পরামর্শ মানুন। মহামারী থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টায় তাকে ব্যবহার করবেন না।