শেষ আপডেট: 25th March 2025 19:12
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: সোমবার আদালতের রায়ে হেফাজতে নেওয়া বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সহ বাকি ১৩ জনের রায় ঘোষণা স্থগিত রাখলেন ফার্স্ট ট্রাক সেকেন্ড কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র। বিচারক বর্ধমান জেলের সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন চারজন অসুস্থ সহ অভিযুক্ত ১৩ জনকে হয় সশরীরে আদালতে উপস্থিত করতে হবে, নয়তো ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাঁদের সঙ্গে কথা বলাতে হবে।
প্রসঙ্গত, সোমবারই হাসপাতালে ভর্তি হন তৃণমূল নেতা কাকলি তা গুপ্ত, মানস ভট্টাচার্য, শেখ জামাল ও কার্তিক বাগ। মঙ্গলবার সরকারি পক্ষের আইনজীবী হরিদাস মুখার্জি ও অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী বিশ্বজিৎ দাস জানান, অভিযুক্ত
১৩ জনের মধ্যে চারজন শারীরিক অসুস্থতার জন্য আদালতে উপস্থিত হননি। আদালত তাদের বুধবার সশরীরে বা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজির করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। হাসপাতালের সঙ্গে কথা বলে সংশোধনাগারের সুপার এই ব্যবস্থা নেবেন। তারপরই বুধবার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হবে।
এদিন অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বর্ধমান-১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কাকলি তা গুপ্তর সঙ্গে দেখা করতে যান মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার ও প্রাক্তন বিধায়ক উজ্জ্বল প্রামাণিক ।
সোমবার ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। আদালত থেকে সংশোধনাগারে নিয়ে যাওয়ার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন কাকলি তা, মানস ভট্টাচার্য, শেখ জামাল ও কার্তিক বাগ। তাদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতে কাকলি তা গুপ্তকে অনাময় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মঙ্গলবার কাকলি তা গুপ্তকে দেখতে যান মন্ত্রী। তিনি আদালতেও যান। আদালতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতা ও কর্মী।
দুপুরেই চারজনকে বাদ দিয়ে বাকি ন'জনকে আদালতে পেশ করা হয়।
২০১৭ সালে খুনের চেষ্টা, মারধর সহ একাধিক ধারায় মামলা হয় কাকলি তা গুপ্ত সহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে। সোমবার বর্ধমানের ফাস্ট ট্রাক সেকেন্ড কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র ২ জনকে খালাস করে দিলেও কাকলি তা গুপ্ত সহ ১৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং জেল হেফাজতে পাঠিয়ে দেন। মঙ্গলবার রায় দেওয়া হবে বলে জানান বিচারক। সবাই উপস্থিত না থাকায় সেই চূড়ান্ত রায়দান স্থগিত হল।