শেষ আপডেট: 9th January 2025 20:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: শীতের সকাল। একটা গুমটি দোকানের সামনে ভিড়। বর্ধমান শহরের রাধানগর পাড়ার মোড়ের এটা রোজকার ছবি। কারণ এখানেই পাওয়া যায় শিবুদার ডালপুরি, হিংয়ের কচুরি, আলুরদম।
শিবুদা নেই, তবে তাঁর দোকানের ডালপুরি ৯৫ বছর একইভাবে কামাল দেখাচ্ছে। সকালের জল-খাবারে এই ডালপুরি, হিংয়ের কচুরি সঙ্গে আলুর দম যেন সিগনেচার ফুড।
রানিগঞ্জ বাজারে ছিল এই দোকান। বেশ কয়েকবছর হল রাধানগর পাড়ায় স্থানান্তরিত হয়েছে। একটা খুপড়ি ঘরে একের পর এক ডালপুরি, কচুরি ভাজা হয়। থরে থরে সাজানো থাকে একাধিক রকমের তরকারি। সেগুলোর মধ্যে আলুদম, কুমড়ো আলুর তরকারির চাহিদাই সবচেয়ে বেশি।
বাবার হাত ধরে শিবু দত্তের এই দোকান শুরু হয়। কিন্তু শিবু দোকানের দায়িত্ব নেওয়ার পরে বর্ধমান জুড়ে প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠে তাঁর তৈরি কচুরি-ডালপুরি। শিবু দত্ত মারা গিয়েছেন দীর্ঘদিন আগে। এখন দোকান চালান তাঁর ভাই রামচন্দ্র দত্ত ও আত্মীয় বিশু।
কিন্তু কী আছে শিবুদার দোকানের কচুরিতে? যার টানে হিংয়ের কচুরি ডালপুরি খেতে ভিড় জমান সকলেই। ক্রেতাদের দাবি, এই দোকানের কচুরি ডালপুরি খেলে বদহজম হয় না। এভাবেই হালফিলের শৌখিন ব্রেকফাস্টের দিব্যি টেক্কা দিয়ে চলছে শিবুদার কচুরি।