শেষ আপডেট: 23rd October 2024 17:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: লালশাক, বেগুনভাজা, ক্ষীর, লুচি, চিনির নাড়ু ও গুড়ের নাড়ুর ভোগ দেওয়ার রীতি চলে আসছে বছরের পর বছর। এবারও প্রথা মেনে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে সিনহা বাড়ির কালীপুজোয়। বড়শুল শিবতলার সিনহা বাড়িতে আনুমানিক দেড়শো বছরের বেশি সময় ধরে পুজিতা হচ্ছেন এক ফুট উচ্চতার ব্যাঘ্রাসনে শয়নরত শিবের উপর আকর্ণ বিস্তৃত চোখের অষ্টধাতু নির্মিত কালী মূর্তি।
পরিবারের সদস্য রূপ সিনহা জানান, রাজেন্দ্রনারায়ণ সিং ছিলেন দ্বারভাঙা ও মুর্শিদাবাদ জেলার বর্তমানে ডোমকল থানার জিৎপুরের জমিদার। বড়শুলের জমিদার পরিবারের বিজয় দে'র একমাত্র কন্যা যুগলমোহিনী দে'র সঙ্গে রাজেন্দ্রনারায়ণ সিং বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হন ও পরবর্তী কালে স্থায়ী ভাবে বড়শুল শিবতলায় বসবাস শুরু করেন। সেই সময় দ্বারভাঙা থেকে অষ্টধাতুর কালীমূর্তি এনে বড়শুলে নিজের গৃহে প্রতিষ্ঠা করেন।
রাজেন্দ্রনারায়ণ সিং, তৎকালীন বর্ধমানের মহারাজের কাছ থেকে সরস্বতী সিন্ধু উপাধি লাভ করেন। রাজেন্দ্রনারায়ণ সিংয়ের মৃত্যুর পর তাঁর পুত্র সমর সিনহা রীতি মেনে পুজো করতেন।আজও সেই রীতি মেনে পুজো করছেন বর্তমান প্রজন্ম।পুজোয় বলিদান প্রথা নেই। ঐতিহ্য মেনে আজও লালশাক, বেগুনভাজা, ক্ষীর, লুচি, চিনির নাড়ু, গুড়ের নাড়ুর ভোগ দেওয়া হয়।
কথিত আছে, তাঁর নিজের পছন্দের খাবারকেই পুজোর ভোগ হিসাবে নিবেদন করতেন রাজেন্দ্র নারায়ণ সিং। আজও সেই প্রথা বর্তমান। পরিবারের সদস্য স্বপ্না সিনহা জানান, পুজোর রাতে প্রথা মেনে সমস্ত আচার পালন করে ভোগ রান্না করেন বাড়ির মহিলারা। দেড়শো বছরের সমস্ত ঐতিহ্যই ধরে রেখেছেন তাঁরা।