শেষ আপডেট: 8th November 2024 19:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পশ্চিম বর্ধমান: আবাসের বাড়ি পেতে 'জাত' বদল! সাধারণ জাতি হয়েও তপশিলি পরিচয়। এই ভাবে যোজনার তালিকায় নাম ঢোকানোর অভিযোগ উঠল রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে। প্রশ্নের মুখে পড়ল ব্লক প্রশাসন।
বাংলা আবাস যোজনা নিয়ে আগেও বহু অভিযোগ উঠেছে। কোথাও মৃত ব্য়ক্তির নামে আবাস, কোথাও আবার পাকা বাড়ি থাকতেও নাম উঠে যাচ্ছে গরিব মানুষের। এবার জাত পরিবর্তন করে আবাসের তালিকায় নাম ঢুকল কাঁকসার রেশন ডিলার মৃণাল কান্তি ঘোষের। বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের জামদোহা এলাকার তাঁর দোকান রয়েছে। এমনকী দোতলা পাকা বাড়িও রয়েছে মৃণাল কান্তিবাবুর।
বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে সমীক্ষার সময়ে ৭৭৪ জনের নাম তালিকায় ছিল। পরে গ্রাম পঞ্চায়েতের সার্ভার থেকে সেই তালিকা মুছে গেছে বলে অভিযোগ ওঠে। সম্প্রতি সেগুলি আবার উদ্ধার করা হয়। দেখা যাচ্ছে, ওই তালিকায় অধিকাংশ নামের ব্যক্তিরই পাকা বাড়ি রয়েছে। সেই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত রেশন ডিলারকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি তড়িঘড়ি বাইক নিয়ে এলাকা ছাড়েন। কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য বলেন, “এই ধরনের কারওর নাম আবাসের তালিকায় থাকার কথা নয়। এই তালিকা ২০১৮ সালে তৈরি হয়েছিল। তখন কাদের নাম ছিল আমরা জানতাম না। এখন সেই তালিকা বাছাই করা হচ্ছে। যারা পাওয়ার যোগ্য তাদেরই বাড়ি দেওয়া হবে।”
বিজেপির সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সবাই বুঝতে পারছেন, বাংলার কী হাল। যারা পাওয়ার যোগ্য তাঁরা থাকছে মাটির ঘরে। আর, যাদের বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে, তাদের জাতি বদল করে আবাসের তালিকায় নাম দেওয়া হচ্ছে। আমরা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামব।”
যদিও, রাজ্যের পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “পুরনো তালিকাগুলি সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নতুন তালিকা এখনও প্রকাশ হয়নি। পর্যালোচনা চলছে। যাচাইয়ের সময়ই বাদ চলে যাবে। যারা বাংলা আবাস যোজনার যোগ্য ব্যক্তি তাদেরই বাড়ি দেওয়া হবে।”