শেষ আপডেট: 6th December 2024 19:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: সরকারি ঘোষণা আর খুচরো বাজারে ফারাক অনেকটাই। শুক্রবারের বাজারেও আলুর দাম কমেনি। এই নিয়ে ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা।
শুক্রবার বর্ধমানের কালনা গেট বাজার থেকে স্টেশন বাজার কিংবা নীলপুর বাজার সর্বত্রই জ্যোতি আলুর দাম ছিল ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা কেজি। কোথাও কোথাও আবার ৩৭ টাকা থেকে ৩৮ টাকা পর্যন্ত দাম উঠেছে জ্যোতি আলুর। চন্দ্রমুখী আলু তো আরও নাগালের বাইরে। কিছুদিন আগেও আলু ৩২ টাকায় ঘোরাফেরা করছিল। কিন্তু মঙ্গলবার ও বুধবার ব্যবসায়ীদের দু'দিনের ধর্মঘটের পর থেকে আবার চড়ে গেছে আলুর দর। অন্য সবজির দামও খুব একটা কমেনি।
এত দাম খাব কী? বলছেন বাজারে আসা ক্রেতারা। বাজারে এসে প্রদীপ চন্দ্র বলেন, "সরকার তো মুখে বলছে। কাজে হচ্ছে না। আলুর এত দাম। সবজির এত দাম। কীভাবে চলবে?"
আর এক ক্রেতা সমর ঘোষও প্রচণ্ড ক্ষুদ্ধ। তিনি বললেন, "এভাবে চলতে পারে না। হিমঘরে আলু ২৬ টাকা। আনার খরচ ইত্যাদি বাদ দিয়ে ৩১ টাকা। এত দাম হয় কী করে? চাষিরা তো কবেই আলু ছেড়ে দিয়েছে। ফায়দা লুটছে মাঝের ব্যবসায়ীরা।"
আরেক ক্রেতা প্রতাপ দাস বলেন, "শীতকালে সবজির দাম কম হয়৷ এবারে কমেনি তেমন। আলুর দাম কমছেই না। এখন তো আলু ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকার বেশি হওয়া উচিতই নয়।"
বাজারের খুচরো বিক্রেতারাও খুশি নন। বিক্রেতা তাপস দাস জানান, ধর্মঘটের পর থেকেই দাম বেড়েছে। বিক্রি অনেক কমে গেছে তার ফলে ।
মঙ্গলবার প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি কর্মবিরতির ডাক দেওয়ায় বাজারে চড়া দামে আলু বিক্রি হচ্ছিল । পুলিশ লাইন বাজার থেকে স্টেশন বাজার কিংবা নীলপুর বাজার সব জায়গাতেই খোলা বাজারে জ্যোতি আলু বিক্রি হচ্ছিল ৩৬ টাকা কিলো দরে। চন্দ্রমুখী আলু বিক্রি ৪০ টাকা কিলো দরে। অথচ সোমবার পর্যন্ত বর্ধমানের বিভিন্ন বাজারে ৩২ টাকা কিলো দরে আলু বিক্রি হয়। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল বর্ডার না খুললে তারা মঙ্গলবার থেকে কর্মবিরতিতে সামিল হবে। সেই মতো হিমঘর থেকে আলু বের হয়নি। ব্যবসায়ীদের সমর্থনে এগিয়ে আসেন হিমঘর মালিকরাও। পরে কর্মবিরতি তুলে নেওয়া হয়।
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির রাজ্য সভাপতি জগবন্ধু মণ্ডল বলেন, "আমরা সাধারণ মানুষের কথা ভেবে কর্মবিরতি তুলে নিয়েছি। বুধবার রাত থেকে হিমঘর থেকে আলু বের হচ্ছে।"
সকলেই চান, নিয়ন্ত্রণে আসুক আলুর বাজার। অন্তত একটা স্থিতাবস্থা আসুক। নীলপুরের বাসিন্দা অশোক ঘোষ বলেন, "কোথায় টাস্ক ফোর্স। বাজারে যা খুশি দামে সবজি থেকে আলু বিক্রি হচ্ছে। সরকারি ভাবে দেখভালের কেউ নেই।"