শেষ আপডেট: 24th August 2024 13:46
দ্য় ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: ৯ দিন পরে শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের নান্দুর গ্রামের ঝাপানতলায় নৃশংসভাবে তরুণী খুনের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ। কিন্তু এখনও বেশ কিছু মিসিং লিঙ্ক রয়ে গেছে। সেই জট খোলাই এখন পুলিশের বড় কাজ। শনিবার দুপুরে সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযুক্তকে উপস্থিত করার আগে কীভাবে অভিযুক্ত ধরা পড়ল সেই তথ্য জানান পুলিশসুপার আমনদীপ।
পুলিশ সুপার জানান, এই হত্যা রহস্যের সমাধানে প্রথমে ৯ সদস্যের সিট গঠন করেছিল জেলা পুলিশ। পরে সেটা বেড়ে ২১ জনের টিম হয়। শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া থেকে অজয় টুডুকে গ্রেফতার করা হয়। ঘটনার পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সে গা ঢাকা দিয়েছিল বলে পুলিশ জেনেছে। বছর ২৬ এর ওই তরুণের বাড়ি ডেবরায়। খুনের ঘটনার তদন্তে পূর্ব মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জেলা পুলিশ সাহায্য করেছে বলে জানান আমনদীপ। এই ঘটনার তদন্তে এখনও দুটি টিম বেঙ্গালুরুতে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
পুলিশ সুপার বলেন, "বেঙ্গালুরুতে থাকাকালীনই তরুণীর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল ওই যুবকের। সেই সম্পর্ক নিয়ে টানাপড়েন চলছিল। ১৪ অগস্ট রাতে তাই নিয়ে বচসার জেরেই তরুণীকে গলা কেটে খুন করে ওই যুবক। অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে আরও তদন্ত চলবে।"
পুলিশ সুপার জানান, ১২ অগস্ট একসঙ্গেই তারা বেঙ্গালুরু থেকে ফিরেছিল। এবং ১৪ তারিখ দুপুরে আততায়ী গাংপুরে আসে। মেয়েদের রাত দখলের সন্ধ্যায় পূর্ব বর্ধমানের নান্দুর গ্রামের বাসিন্দা ওই তরুণীকে গলা কেটে খুন করা হয়। এই ঘটনা জানাজানি হতেই উত্তাল হয়ে ওঠে বর্ধমান সহ আরও নানা জেলা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জাতীয় সড়ক থেকে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। তৃণমূল, বিজেপি সহ বিভিন্ন আদিবাসী সংগঠনও খুনিকে গ্রেফতারের দাবিতে আসরে নামে। এদিকে খুনিকে চিহ্নিত করতে পারলেও ধরতে পারছিল না পুলিশ। তাই পুলিশের উপর আস্থা হারিয়ে সিবিআইয়ের দ্বারস্থ হবেন বলে জানান পরিবারের সদস্যরা। অবশেষে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এখন শুধু কয়েকটি মিসিং লিংক সমাধান হওয়া বাকি।
ওই তরুণীর বাবা বলেন, "আমি চাই কঠিন শাস্তি হোক। যাতে অন্য কেউ এরকম অপরাধ করতে সাহস না পায়। দোষীর ফাঁসি চাইলেন মা। প্রতিবেশীরাও একই দাবিতে সোচ্চার।