শেষ আপডেট: 9th January 2025 19:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: রাস্তায় নামলেই দর্শন মিলছে ময়ূরের। গত দু'তিন দিন ধরে ভাতারের রতনপুর ও বামুনারা এলাকায় গ্রামে ময়ূরের দর্শন পেয়ে আনন্দে উচ্ছ্বসিত আট থেকে আশি সকলেই।
তখন শীতের বিকেল । ভাতারের বামুনাড়া হাটতলায় রয়েছে কয়েকটি দোকানপাট। ওই দোকানগুলির সামনে বেশকিছু লোকজন দাঁড়িয়ে গল্পগুজব করছেন। হঠাৎ কাকের চিৎকারে কয়েকজন গ্রামবাসী উপরের দিকে তাকিয়ে দেখেন হাটতলার কাছে তেঁতুলগাছের ডগায় এসে বসেছে একজোড়া ময়ূর। তখন কাকের চিৎকারের কারণ বুঝতে দেরি হয়নি স্থানীয়দের। নতুন অতিথিদের দেখতে একদিকে যেমন উৎসুক মানুষের ভিড় জমছে, পাশাপাশি ওই ময়ুর ময়ুরীকে নিয়ে আশঙ্কাতেও ভুগছেন স্থানীয়দের একাংশ। মাংসের লোভে তাদের যেন হত্যা না করা হয়। আপাতত গ্রামের কিছু যুবক তাদের আগলে রেখেছে। বনদফতরের বর্ধমান ডিভিশনের আধিকারিক সঞ্চিতা শর্মা বলেন,"এখনও পর্যন্ত বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এখনই খোঁজ নিয়ে দেখছি।"
আউশগ্রামের জঙ্গলমহলে ময়ূরের দেখা মিলছে দলে দলে। আউশগ্রামের আদুরিয়া সহ সংলগ্ন গ্রামগুলিতে বিগত চার পাঁচ বছর ধরেই ময়ূরের দল দেখা যাচ্ছে। আর ভাতার এলাকার পশ্চিমাংশে রয়েছে ওড়গ্রাম জঙ্গল। কিন্তু ওড়গ্রাম জঙ্গলে এখনও পর্যন্ত ময়ূরের দেখা মেলেনি। ভাতারের বামুনাড়া গ্রাম থেকে ওড়গ্রাম জঙ্গলের দূরত্ব প্রায় সাড়ে তের কিলোমিটার। আর আউশগ্রামের আদুরিয়া জঙ্গলের দূরত্ব প্রায় ৪৭ কিলোমিটার। তবে গতবছরেও আদুরিয়া জঙ্গল ছেড়ে খাবারের সন্ধানে মঙ্গলকোট এলাকায় একদল ময়ূরকে ডেরা বাঁধতে দেখা গিয়েছিল। এখন আর মঙ্গলকোট এলাকায় ময়ূর দেখা যাচ্ছে না বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
এরই মধ্যে এই শীতের মরশুমে এলাকাবাসীকে চমকে দেওয়ার মতন ঘটনা ঘটল ভাতারের বামুনাড়া গ্রামে। গ্রামের বাসিন্দাদের অনেকেই বলেন,"এতদিন চিড়িয়াখানায় বা ছবিতে ময়ূর ময়ূরী দেখেছি। এবার চাক্ষুষ গ্রামে বসেই ময়ূর দেখছি। এটা ভীষণ ভাগ্যের ব্যাপার।"
ইতিমধ্যে ওড়গ্রাম বনবিভাগের দুই প্রতিনিধি এলাকায় ঘুরেও গিয়েছেন। তাদের ধারণা আউশগ্রাম জঙ্গল থেকেই খাবারের সন্ধানে ভাতারে চলে এসেছে ওই ময়ূর ময়ূরী। বনবিভাগ তাদের নিরাপদ এলাকায় পাঠানোর চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।