শেষ আপডেট: 12th November 2024 12:47
দ্য় ওয়াল ব্যুরো: ট্যাব কেলেঙ্কারির ঘটনায় মালদহ থেকে একজনকে গ্রেফতার করল বর্ধমান জেলা পুলিশ। অভিযোগ, অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে সে পড়ুয়াদের টাকা হাতিয়েছিল। এই চক্রে আরও কয়েকজন জড়িত বলেও জানা গেছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
মালদহ থেকে ধৃতের নাম হাসেম আলি। বাড়ি মালদা জেলার বৈষ্ণবনগরে। পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে জুলাই মাসে হাসেম আলি একটি মোবাইলে বাংলার শিক্ষা পোর্টাল অ্যাকসেস করে। নিজে একটি অ্যাকাউন্ট মোডিফাই করেছিল হাসেম। যে মোবাইলটি হাসেম ব্যবহার করতো সেটিও আটক করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় আরও কিছু নাম আছে বলে পুলিশের অনুমান। ধৃতকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে আদালতে পেশ করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার সায়ক দাস।
রাজ্য সরকারের তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য দশ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। সেই জন্য পুজোর ছুটি পড়ার আগেই স্কুলের পক্ষ থেকে পোর্টালে আপলোড করা হয়। বর্ধমান শহরের সিএমএস হাইস্কুলে এবছর ৪১২ জন পড়ুয়ার জন্য ট্যাবের আবেদন করা হয়। কিন্তু স্কুলের ৪১২ জনের মধ্যে ২৮ জন পড়ুয়ার অ্যাকাউন্টে ট্যাবের টাকা ঢোকেনি বলে অভিযোগ। তারপরেই স্কুলের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়টি জানানো হয় ডিআই,অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) ও ডিপিওকে।পাশাপাশি পুলিশের সাইবার সেলেও অভিযোগ দায়ের করা হয়।
স্কুলের পক্ষ থেকে ২৮ জন পড়ুয়াকে ব্যাঙ্কে গিয়ে খোঁজখবর নিতে বলা হয়। ব্যাঙ্কে গিয়ে পড়ুয়ারা জানতে পারে তাদের অ্যাকাউন্টের টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গেছে। পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বেশ কয়েকটি জেলার বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে সরকারি প্রকল্পের ট্যাবের দশহাজার টাকা ঢুকেছে। স্বাভাবিক ভাবেই হতাশ হয়ে পড়ে ট্যাবের জন্য টাকা না পাওয়া এই স্কুলের ২৮ জন পড়ুয়া। জেলাশাসক আয়েশা রানি বলেন, পূর্ববর্ধমানের ২৮ টি স্কুলের ৮৫ জন পড়ুয়া ট্যাবের টাকা পায়নি।
পরে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পূর্ব বর্ধমান জেলায় টাকা না পাওয়া ছাত্রদের অ্যাকাউন্টে ঢোকে ট্যাব কেনার টাকা। যে সব পড়ুয়ার টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছিল সেই সব পড়ুয়ারা সবাই ট্যাবের টাকা পায়। পাশাপাশি পুলিশও তদন্ত চালাতে থাকে। অবশেষে মালদহ থেকে একজনকে গ্রেফতার করল বর্ধমান জেলা পুলিশ। ছাত্রদের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে সে টাকা হাতিয়ে ছিল বলে অভিযোগ। তাকে জেরা করে এবার এই চক্রে জড়িত অন্যদের নাগাল পেতে চায় পুলিশ।