শেষ আপডেট: 31st January 2022 10:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে জনসভা, মিছিল ও রোড শো-র উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল আজ ৩১ জানুয়ারি অবধি। এরপরে নির্বাচন কমিশন কী পদক্ষেপ নেয় সেই দিকেই নজর ছিল। আজ সোমবার কমিশন বিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে করোনা বাড়ছে দেশে। ভোটমুখী পাঁচ রাজ্যের সংক্রমণ পরিস্থিতি ভাল নয়। কাজেই নির্বাচনের আগে জনসভা, পথসভা, রোড শো, মিছিল ইত্যাদি কিছুই করা যাবে না। দেশে এমন নজির আগে তৈরি হয়নি। বিধি মেনে, শৃঙ্খলা বজায় রেখে জনসভা করার অনুমতি আগেও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এবার আরও কড়া নির্বাচন কমিশন। আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি পাঁচ রাজ্য যথা উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড, গোয়া, পাঞ্জাব এবং মণিপুরে নির্বাচন রয়েছে। তার আগে এই পাঁচ রাজ্যেই কোনও মিছিল বা জনসভা করা যাবে না। রোড শো-এর ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। ১১ ফেব্রুয়ারি অবধি এই নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। করোনা প্রকোপ কমছে দেশে। এই পরিস্থিতিতে দেশের পাঁচ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভোটের প্রচার এবং রোড-শোতে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে কি না সে নিয়ে আজ কমিশনের সিদ্ধান্তের দিকেই নজর ছিল। শনিবার এ নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সঙ্গে একটি বৈঠকে বসে নির্বাচন কমিশন। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পাঁচ রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিবও। বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয় করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে জনসভা ও মিছিলের ক্ষেত্রে সময়সীমা বাড়ানোর। এর আগে নির্বাচন কমিশন ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারির কথা ঘোষণা করে। পরে তা বাড়ানো হয় ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপরে ৩১ জানুয়ারি অবধি মেয়াদ বাড়ানো হয়, আর এখন একদম ভোট পেরিয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি অবধি নিষেধাজ্ঞার মেয়ার বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। করোনার প্রকোপ কমছে দেশে। তবে এই মুহূর্তে সংক্রমণের পরিস্থিতি আশাব্য়ঞ্জকও নয়। দৈনিক আক্রান্ত এখনও লাখের বেশি। ভোটমুখী রাজ্যগুলির পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। কাজেই একন সভা, মিছিল করার অনুমতি দিলে দেশে সংক্রমণ পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তবে জনসভা, রোড শো বন্ধ থাকলেও তাতে নির্বাচনে কোনও ক্ষতি হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ হেভিওয়েট ক্যাম্পেনাররা লোকসভা অধিবেশনেই ব্যস্ত থাকবেন। কাজেই খুব একটা সমস্যা হবে না বলেই মনে করছে কমিশন। পড়ুন দ্য ওয়ালের সাহিত্য পত্রিকা 'সুখপাঠ'