শেষ আপডেট: 3rd December 2024 08:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মাঝে মধ্যেই গ্রামে আসে হনুমানের দল। অনেকেই খাবারও দেন। কিন্তু সোমবার যে ছবি দেখা গেল তাতে গ্রামবাসীরা রীতিমতো শিউরে উঠছেন। কারণ গ্রাম জুড়ে এদিক ওদিক পড়ে রয়েছে হনুমানের দেহ। কী এমন ঘটল যার জন্য মৃত্যু হল একের পর এক হনুমানের, ভেবেই কুল পাচ্ছেন না গ্রামবাসীরা। ঘটনায় এফআইআর দায়ের করল বন দফতর।
বর্ধমানের কেতুগ্রামের শাখাই গ্রামের ঘটনা। একাধিক হনুমানের মৃত্যু ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য। বিষক্রিয়া নাকি অন্য কোনও কারণে মারা গেল এত হনুমান, প্রশ্ন উঠছে।
হনুমানের মৃত্যুমিছিলের খবর পেয়ে গ্রামে যান বন দফতরের আধিকারিকরা। পুরো ঘটনা খতিয় দেখার পর সাগর দাস নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অভিযোগ তিনিই হনুমানদের বিষ খাইয়েছেন।
সাগর দাস ওই গ্রামের ফেরিঘাটের মালিক। কাটোয়া শাখায় ফেরিঘাট লিজ রয়েছে তাঁর নামে। তদন্তের জন্য তাঁকে কাটোয়া বন দফতরে তলব করা হয়। অভিযোগ, ফেরিঘাটের পাশের সর্ষের জমিতে হনুমানের উৎপাত থেকে রেহাই পেতে কলার সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হনুমানদের খাইয়ে দিয়েছেন তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সাগর। তাঁর দাবি, হনুমানদের জন্য নয়, সর্ষে জমিতে পোকা থেকে রেহাই পেতেই কীটনাশক দেওয়া হয়েছিল।
তাঁর দাবি, এভাবে প্রতি বছরই তিনি কীটনাশক ছড়ান। তাঁর জমিতে কোনও হনুমানের দেহ পাওয়া যায়নি বলেও দাবি করেছেন সাগর। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, রাজনীতি করে ফাঁসানো হচ্ছে তাঁকে।
এখনও অবধি যা জানা যাচ্ছে পুলিশ ও বন দফতর যৌথভাবে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
কেতুগ্রামের শাখাই গ্রাম তো বটেই, আরও কয়েকটি গ্রামে দু'দিনে ১০টি হনুমানের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহগুলি বর্ধমানের রমনা বাগানে পাঠিয়েছে বন দফতর। এলাকায় বাকি হনুমানদের উপর নজর রাখা হয়েছে।