শেষ আপডেট: 10th January 2025 18:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: নদী থেকে অবৈজ্ঞানিকভাবে বালি তোলা, লোকজনের চিৎকারে পরিযায়ীরা বিরক্ত। তাই তারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। দামোদর ছেড়ে এখন পরিযায়ীদের নতুন ঠিকানা বড়শুলের পাশে বেলনা গ্রামের জলাশয়। নির্জন, নিস্তব্ধ পরিবেশ পেয়ে পরিযায়ীরা দিব্যি আছে এখানে।
ফি বছরের মতো এই বছরেও শীত আসতেই পূর্ব বর্ধমান জেলার বিভিন্ন প্রান্তে হাজির হয়েছে পরিযায়ী পাখির দল। দামোদর নদ থেকে বড়শুল গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকায় নানান প্রজাতির পাখি এসেছে। বিশেষত বড়শুলে নর্দান ফিলটেল-সহ অন্যান্য পাখিদের সৌন্দর্যে ভরে উঠেছে জলাশয়ের পরিবেশ।
বেলনা গ্রামের বাসিন্দা আনন্দ মণ্ডল,সৌরভ মণ্ডলরা বলেন, "এখানে স্থানীয় বাসিন্দারা খুবই সর্তক। পাখিরা যাতে কখনই মুখ না ফেরায় সেদিকে নজর রেখেছে সবাই। আগে শীতে দামোদরে পাখির ঢল নামত। কিন্তু এখন আর পাখি আসে না সেখানে। কারণ মানুষের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা। এখানে আমরা সর্তক রয়েছি। চোরাকারবারিরা যাতে কোনওভাবেই পাশে ঘেঁষতে না পারে।"
পাখি বিশেষজ্ঞ অর্ণব দাস জানান,উৎসবের জৌলুস মানুষের আনন্দ বাড়ালেও, শব্দদূষণ এবং আলোড়নের ফলেও অনেক পাখি স্থান ত্যাগ করেছে বা আসতেই ভয় পেয়েছে। পাখির সংখ্যা অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার উল্লেখযোগ্যভাবে কম। তিনি বলেন, "এর পিছনে দুটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রথমত, এই বছর আবহাওয়ার পরিবর্তনশীলতা এবং তাপমাত্রার অস্বাভাবিক ওঠানামা পাখিদের স্বাভাবিক গতিপথকে ব্যাহত করেছে। দ্বিতীয়ত, দীপাবলি উৎসবের সময় আতশবাজি ফাটানোর কারণে পাখিদের নিরাপত্তাহীনতা বেড়েছে।"
তাঁর কথায়, "আমরা যদি সময় মতো সতর্ক না হই, তবে হয়তো এমন এক সময় আসবে, যখন শীতকালীন আকাশে আর এসব পরিযায়ী অতিথিদের দেখা পাওয়া যাবে না।"