শেষ আপডেট: 2nd August 2024 15:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: রাতভরের টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল কাটোয়া শহরের আটটি ওয়ার্ড। স্কুল, বাড়ি, মাঠঘাট ভেসে গেছিল বৃষ্টির জলে। এতে ঘুম উড়েছিল পুরসভার। নিকাশি ব্যবস্থা দেখতে তড়িঘড়ি পথে নেমেছিলেন পুরকর্মীরা। জলজমার কারণ খুঁজতে গিয়ে চোখ কপালে উঠল তাঁদের। দেখলেন শহরের প্রধান নিকাশির লকগেট বন্ধ করা রয়েছে। এই ঘটনা সমানে আসতেই সেচদফতের ঘারে দায় চাপাল পুরসভা। যদিও সেচদফতরের কর্মী জানিয়েছেন কে লকগেট বন্ধ করল সে বিষয়ে কিছু বুঝতে পারছেন না তাঁরা।
কাটোয়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মলয় ঘোষ জানিয়েছেন, একদিনের বৃষ্টিতে শহর কখনও জলমগ্ন হয়নি। কিন্তু বৃহস্পতিবারের টানা বৃষ্টিতে পুরসভার গেট পর্যন্ত ডুবে গেছিল। নিকাশি ব্যবস্থা পরিষ্কার থাকলে জল জমল কেন? সে বিষয়ে জানতেই পুরকর্মীরা মাঠে নেমেছিলেন। তাঁরা যাচাই করতে গিয়ে দেখেন, অজয় নদের ধারে শহরের যে প্রধান লকগেট রয়েছে সেটি বন্ধ করা রয়েছেন।
মলয়বাবুর অভিযোগ, লকগেট রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে সেচ দফতর। লকগেটে তালা-চাবি দেওয়া থাকত আগে। কিন্তু এখন সেসব দেওয়া থাকেন না। এদিন বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরে কেউ বা কারা সেই লকগেট মাছ ধরার জন্য বন্ধ করে দেয়। ফলে নিকাশি ব্যবস্থা ব্যাহত হয়েছে। এতেই ডুবে গেছিল শহরের একাধিক ওয়ার্ড। পরে লকগেট খুলে দিলে ধীরে ধীরে জল নামতে থাকে।
সেচ দফতরের কর্মী মদন ঘোষের দাবি, লকগেট নজরদারিতে দুজন কর্মী থাকে। লকগেট খোলাই ছিল। কিন্তু পরে কেউ বা কারা দুটি লকগেটের একটি বন্ধ করে দেয়। তাতে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তবে লকগেটের নিরাপত্তায় থাকা দুই কর্মীর কেউ সেখানে কেন উপস্থিত ছিলেন না, সেবিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি মদনবাবু। শহরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, চৌকাঠ পেরিয়ে বাড়ি মধ্যে ঢুকে পড়েছিল নোংরা জল। এতে তাঁদের চরম ভোগান্তি শিকার হতে হয়েছে।