শেষ আপডেট: 25th October 2024 20:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পশ্চিম বর্ধমান: এখানে দেবী দুর্গা নয়, কালী দশভুজা। আসানসোলে গোপালপুর এলাকার প্রগতিশীল সংঘের এটাই মা কালীর রূপ। দূর-দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীদের আসেন এই রারোয়ারি কালীপুজো দেখতে।
প্রগতিশীল সংঘের সম্পাদক তারক মুখোপাধ্যায় বলেন, ১৯৯২ সাল থেকে এই কালীপুজোর সূচনা হয়েছিল। গত ৩৩ বছর ধরে নিয়মিতভাবে দশভুজা কালীপুজো হয়ে আসছে। পুরাণ অনুযায়ী, দশভুজা মূর্তি মূলত দেবী দুর্গার হলেও, চণ্ডীকে দশভুজা রূপে পুজোর কথা উল্লেখ রয়েছে। সেই ধারণা থেকেই এখানে কালী প্রতিমার দশটি বাহু।
সংঘের সদস্য সোমনাথ বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কথায়, চণ্ডীর এই বিবরণ অনুসারে তাঁরা দশভুজা কালী পুজাের প্রচলন করেন, যা আজ এই অঞ্চলের প্রধান আকর্ষণ।
প্রতি বছর পুজোর মণ্ডপের থিম থাকে ভিন্ন। এই বছরের থিম মৎস্যকন্যা। মণ্ডপের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এখানে আলোকসজ্জা করা হবে। অসাধারণ শিল্পকর্ম, যা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে। পুজোর সঙ্গে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন লোকশিল্পী যোগ দেন।
বহুবছর ধরে মূর্তি তৈরি করে আসছেন পুরুলিয়ার মৃৎশিল্পী তপন কুম্ভকার। তিনি বেরো অঞ্চলের বাসিন্দা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এই কাজ করছেন। দেবী মূর্তি তৈরির শেষ মুহূর্তের কাজে তিনি ব্যস্ত।