শেষ আপডেট: 9th November 2024 18:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: স্কুলের মাঠে হাট বসিয়ে গন্ডগোল বাঁধল পূর্ব বর্ধমানের ভাতারে। স্কুলের মাঠে হাট বসিয়ে আয় হয়েছে তিন লক্ষ ষাট হাজার টাকা। অভিযোগ, অথচ সেই টাকা জমা পড়েনি স্কুলের তহবিলে। অভিভাবকদের এই অভিযোগ নিয়ে শনিবার দিনভর সরগরম থাকল ভাতারের শুশুনদিঘি হৃষিকেশ পাবলিক হাইস্কুল।
স্কুলের মাঠে প্রতি সপ্তাহে বসত কাপড়ের হাট। অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের কাছে আদায় করা টাকা জমা পড়েনি স্কুলের ফান্ডে। ওই টাকার হিসাব দাখিল করে অবিলম্বে স্কুলের খাতে জমা দেওয়ার দাবি জানিয়ে শনিবার ভাতারের বলগোনায় শুশুনদিঘি হৃষিকেশ পাবলিক হাইস্কুলে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। ঘটনা ঘিরে স্কুলে সাময়িক উত্তেজনা ছড়ায়। প্রধান শিক্ষকের কাছে দাবিপত্র জমা দেওয়া হয়। এরপর পরিচালন কমিটির সভাপতি এবং প্রধান শিক্ষক বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য কয়েকদিন সময় চাইলে স্থানীয়রা আশ্বস্ত হয়ে চলে যান।
বলগোনা বাজারে অবস্থিত শুশুনদিঘি হৃষিকেশ পাবলিক হাইস্কুল। এই স্কুলের সামনে রয়েছে বিরাট মাঠ। চারিদিক সীমানাপ্রাচীর দিয়ে ঘেরা রয়েছে স্কুল চত্বর। স্থানীয়দের পক্ষ থেকে শেখ নুর আলম, আমজাদ শেখ, অরূপকুমার চৌধুরী এরকম কয়েকজন মিলে স্কুলের প্রধানশিক্ষক ও পরিচালন কমিটির কাছে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, গত জুলাই মাস থেকে সপ্তাহের প্রতি রবিবার স্কুল চত্বরে কাপড়ের হাট বসানো হত। গড়ে প্রায় ২০০ দোকানপাট বসানো হয়েছিল। এযাবৎ মোট ১২ সপ্তাহ হাট বসেছে।
নুর আলমের দাবি," ওই হাটে প্রতি ব্যবসায়ীর কাছে গড়ে ১৫০ টাকা করে ভাড়া বাবদ নেওয়া হয়েছিল। সেই হিসাবে এযাবৎ তিন লক্ষাধিক টাকা উঠেছে। কিন্তু স্কুলের ফান্ডে মাত্র ৫০০০ টাকা জমা পড়েছে। বাকি টাকা জমা পড়েনি। আমরা চাই তার হিসাব দাখিল করে ওই টাকা স্কুলের ফান্ডে অবিলম্বে জমা দেওয়া হোক।"
স্কুলের প্রধানশিক্ষক হিম্মত আলি বলেন," হাট বসানোর জন্য আমি কোনও লিখিত অনুমতি দিইনি। শিক্ষা দফতরের নিয়ম মেনেই দেওয়া হয়নি। তবে স্কুলের ফান্ডে ৫ হাজার টাকা জমা পড়েছে। আরও ১০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল। এর বেশি কিছু বলতে পারব না। " পাশাপাশি প্রধানশিক্ষক জানিয়েছেন এরপর থেকে তিনি আর স্কুলের মাঠে হাট বসাতে দেবেন না।
এদিন স্থানীয়রা পরিচালন সমিতির সভাপতি প্রবীর পাঁজার সঙ্গেও দেখা করেন। তাঁর কাছে ওই টাকার হিসাব চান। কেন টাকা স্কুল ফান্ডে জমা পড়ল না, জানতে চান। অভিভাবকদের পক্ষ থেকে নাসিরুদ্দিন চৌধুরী বলেন,"পরিচালন সমিতির সভাপতি আমাদের কাছে ১০ দিন সময় চেয়েছেন।" যদিও কোনও মন্তব্য করতে চাননি প্রবীরবাবু।