শেষ আপডেট: 11th February 2025 18:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: ভাগ্যিস পুলিশ ছিল। না হলে হয়তো ইংরেজি পরীক্ষাটাই দেওয়া হত না ৩৮ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর।
মঙ্গলবার সকালে গুসকরা-বর্ধমান ভায়া অভিরামপুর বাসে চড়ে গলসিতে মাধ্যমিকের ইংরাজী পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল ৩২ জন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা কেন্দ্রের আট-দশ কিলোমিটার দূরে বনসুজাপুর রেলগেটের কাছে আচমকা খারাপ হয়ে যায় বেসরকারি যাত্রীবোঝাই বাসটি। আর কোনও উপায় না পেয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রের দিকে হাঁটতে শুরু করেন পরীক্ষার্থীরা।
এলাকার ভিলেজ পুলিশ সৌভিক সামের মাধ্যমে খবর পান গলসি থানার ওসি অরুণ কুমার সোম। কালবিলম্ব না করে তিনি পাঁচ-ছটি গাড়ি নিয়ে বনসুজাপুর রেলগেটে পৌঁছে যান। এরপর গাড়িগুলি করে দ্রুত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেন পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা শুরুর আগেই ৩২ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রের ভেতরে ঢোকে। ওসির এমন মানবিক কাজের প্রশংসা করছেন পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।
তাঁরা বলেন, "সময়মতো ওসি ও থানার গাড়ি না এলে পরীক্ষার্থীরা ঠিক সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছতে পারত না। এমন কাজের মধ্য দিয়ে তিনি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন।"
এদিকে, ওই পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসার পর ওসি জানতে পারেন গলিগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে ৬ জন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী দীর্ঘক্ষণ বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি দ্রুত গাড়ি ঘুরিয়ে গলিগ্রাম বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছন এবং ৬ পরীক্ষার্থীকে নিজের গাড়িতে করে গলসি উচ্চ বিদ্যালয় ও কালীমতীদেবী উচ্চ বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেন।
এক পরীক্ষার্থী সাথী ঘোষ বলে, "রাস্তায় কাজ চলছিল। বাস আসতে দেরি হচ্ছিল। খুব চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। ঠিক সময়ে ওসি স্যার না আসলে আমরা ৬ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে পারতাম না। ফলে সব প্রশ্নের উত্তর লিখতে পারতাম না। এতে আমাদের বড় ক্ষতি হত। উনি আমাদের কাছে দেবতার মতো এসে সহযোগিতা করেছেন।"
আর এক পরীক্ষার্থী উর্মিলা বাগদি জানান, "ওসিকে কেউ ফোন করে জানিয়েছিল। তারপরই থানার গাড়ি নিয়ে তিনি আসেন এবং আমাদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছে দেন। আমাদেরকে নিজের ফোন নম্বরও দিয়েছেন এবং বলেছেন, যে কোনও সমস্যায় ফোন করতে।"