শেষ আপডেট: 14th November 2024 11:36
চন্দন ঘোষ, পূর্ব বর্ধমান
মহানগর নয়, জেলা শহরে ফিউশন চায়ের স্বাদে মানুষের মন ভোলালেন বর্ধমানের নীলমাধব রায়। রোজ সকাল হলেই দোকান খুলে চা তৈরিতে লেগে পড়েন নীলমাধব। দুধ চা -লিকার চা এতেই সীমাবদ্ধ নয় কিন্তু। নীলমাধববাবুর চায়ের হেঁসেলে আপনার অপেক্ষায় অন্তত একশো রকমের চা। চেনা স্বাদ যেমন আছে সেখানে, তেমনই মিলবে নানা ফিউশনের অপূর্ব স্বাদ।
আপনি যদি চা-প্রেমী হন, আপনাকে ঢুঁ মারতেই হবে বর্ধমানের কার্জন গেট থেকে উল্লাস যাওয়ার পথে বড়নীলপুর মোড়ে নীলমাধবের ক্য়াডি টি বারে। চায়ের স্বাদে আপনার মনে হতেই পারে আপনি যেন বিশ্ব নাগরিক। এখানে যে চায়ের কাপে প্রাচ্য পাশ্চাত্যের মেলবন্ধন। এক কাপ চায়েই মিলবে চকোলেট থেকে হুইস্কি সহ একশো রকমের স্বাদ। আদাচা থেকে নবাবী চা, কী নেই সেখানে!
দুধ চায়ে আপনি পেয়ে যেতে পারেন কেশর-এলাচি, বাটার স্কচ, স্ট্রবেরি, ভ্যালেনটাইনের মতো নানান ফ্লেবার। দুধ ছাড়া লিকার চা যদি খেতে চান, সেখানেও কিন্তু ফ্লেবারের কমতি নেই। মাসকাটেল-আর্ল গ্রে-হিবিসকাস-ব্লু পি, এমন নানা কিসিমের দেশি বিদেশী ফ্লেবার পেয়ে যাবেন অনায়াসে। দাম? ছোট চা ২০ টাকা, আর বড় হলে ৪০।
এতসব আয়োজনে অবশ্য নতুন কিছু করেছেন বলে মনে করেন না নীলমাধব। নিজের ভালবাসাটাকেই শুধু পেশা করেছেন। জানালেন, ছোট থেকেই ভাল চা করেন তিনি। বাড়িতে আত্মীয় স্বজন এলে ডাক পড়ত তাঁর, চা করার জন্য। পরে মনে হয় একটা চায়ের দোকান খুললে কেমন হয়! তাঁর কথায়, "চায়ের দোকান খোলার পরে আমি এই বিষয়ে কয়েকটা কোর্স করি। কী করে আরও নানাধরনের চা সবাইকে খাওয়ানো যায় সেই ভাবনাও চলে। এখন প্রচুর মানুষ আসছেন আমার দোকানে চা খেতে।"
বর্ধমান শহরের চা-প্রেমীরাও এই দোকানের চা খেয়ে উচ্ছ্বসিত। কেউ জানালেন, তাঁরা মাঝেমধ্যেই আসেন, এই দোকানে চা খেতে। কেউ আবার জানালেন, প্রতিদিন আসা না হলেও প্রতি সপ্তাহে ছুটির দিনে নিয়ম করে আসেন। সঙ্গে থাকে ছোটরাও। তাদের আকর্ষণ এখানকার মিল্ক-শেক বা চকোলেট শেক। ক্রেতাদের এই তৃপ্তিই প্রতিদিন নতুন কিছু করার ইচ্ছে জোগায় নীলমাধবের মনে। চায়ের কাপে মিশে যায় তাঁর সৃজনশীল ভাবনা।