শেষ আপডেট: 6th January 2025 18:41
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: ভূতের আতঙ্কে তটস্থ গোটা গ্রাম। ভূতের ভয় এতটাই তাঁদের পেয়ে বসেছে যে সন্ধে নামলেই দরজা জানালা বন্ধ করে দিয়ে গৃহবন্দি হয়ে থাকছেন বৈদ্যপুর রথতলা এলাকার বাসিন্দারা। এমনটা জেনে নড়ে চড়ে বসেছে বিজ্ঞান মঞ্চ ও মহকুমা প্রশাসন। ভূতের আতঙ্ক কাটাতে রাতে টহল দিচ্ছে পুলিশ। আলো লাগানো হচ্ছে রাস্তায়।
বৈদ্যপুর রথতলা এলাকাটি কালনা ২ নম্বর ব্লকের বৈদ্যপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। এলাকাবাসীর কথা অনুযায়ী বার্ধক্যজনিত কারণে ও দুর্ঘটনায় গত ডিসেম্বর মাসে পরপর চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তারপর থেকেই ভূতের কথা ঘুরতে শুরু করে এলাকার বাসিন্দাদের মুখে মুখে।
কেউ বলছেন, রাস্তা দিয়ে হেঁটে যেতে দেখেছেন অশরীরীকে। কেউ আবার রাতে বিরেতে শুনছেন ভূতের পায়ের শব্দ। তাই সন্ধে নামতেই দরজা-জানলা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কেউ আর বেরোতে চাইছেন না পথে। বৈদ্যপুর রথতলা এলাকার যুবক শৌভিক ক্ষেত্রপাল বলেন, "শুধুমাত্র এলাকার সরল সাধাসিধে মহিলা ও পুরুষদের ভূতের আতঙ্ক পেয়ে বসেছে এমনটা নয়। হাতে ৫ জি নেটওয়ার্ক কানেকশনের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন থাকা এলাকার কলেজ পড়ুয়া ছেলে মেয়েরাও এখন ভূতের ভয়ে তটস্থ। তারাও নাকি রাতের অন্ধকারে বাড়ির দরজা-জানালায় আওয়াজ পাচ্ছেন।" চম্পা ক্ষেত্রপাল নামের এক মহিলা গ্রামে ওঝা এনে ভূত খোঁজারও দাবি তুলেছেন।
এই ভূতের আতঙ্ক কাটাতে রবিবার বৈদ্যপুর রথতলা এলাকায় যান পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ ও প্রশাসনের লোকজন। ‘ভূত’ বলে যে কিছু নেই, সেই কথা এলাকায় ঘুরে ঘুরে তাঁরা প্রচার করেন। কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতার প্রচারও করেন। ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট কৃষ্ণচন্দ্র মুণ্ডা বলেন, “বৈদ্যপুর রথতলা এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ভূতের আতঙ্ক দেখা দেওয়ায় আমরা এলাকার পরিস্থিতি সরেজমিনে ঘুরে দেখি। এলাকার মানুষজনকে বোঝানো হয়েছে। বিজ্ঞান মঞ্চের প্রতিনিধি ও পুলিশ-প্রশাসনও এলাকাবাসীকে সচেতনতার পাঠ দিয়েছেন। এলাকায় পর্যাপ্ত আলো না থাকায় অন্ধকার কাটাতে আলো লাগানো হবে। কোনও অসৎ উদ্দেশে কেউ ইচ্ছাকৃত আতঙ্ক সৃষ্টি করছে কিনা তা দেখতে পুলিশের নজরদারিও চলবে।"