শেষ আপডেট: 1st August 2024 19:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: কাটোয়ার পর এবার বর্ধমান। অভিযোগ, পুরসভার দ্বিতীয় দফার উচ্ছেদ অভিযানে অটুট থাকল শাসকদলের কার্যালয়। এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। যদিও পুরসভার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, এদিন সবাই ক্লান্ত। পরে এসব কিছুই থাকবে না।
একমাস সময় পেরোনোর পর বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার অভিযানে নামে বর্ধমান পুরসভা। চেয়ারম্যান পরেশ সরকার,
বর্ধমান উত্তরের মহকুমাশাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস সহ পুলিশ ও পুরসভার আধিকারিকরা এই অভিযানে সামিল হন। শহরের নার্স কোয়ার্টার মোড় থেকে শুরু করে শ্যামলাল,বাবুরবাগ হয়ে বর্ধমান হাসপাতালের কাছের রাস্তাগুলি থেকে হকার ও দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়। কিছু লোক আগেই দোকান সরিয়ে নিয়েছিলেন। বাকি দোকানপাট বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়।
তবে অন্য দোকান ভেঙে দেওয়া হলেও হাসপাতাল চত্বরের বাইরে আইএনটিটিইউসির যে দুটি অফিস রয়েছে, সেখানে কোনও আঁচ না লাগায় অবাক নাগরিকদের একটা বড় অংশ। এর মধ্যে একটি অফিস একটি বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২ নম্বর গেটের দিকে। অন্যটি শ্যামসায়রের পাড়ে। এই নিয়ে পুরসভাকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপির মুখপাত্র শান্তরূপ দে। তিনি বলেন, "উচ্ছেদ অভিযানের নামে পুর এলাকায় মানুষের উপর প্রতিশোধ নিচ্ছে শাসকদল। কারণ শহরের মানুষ তাদের ভোট দেয়নি। যদি তাই না হবে, তবে তৃণমূল কংগ্রেসের ইউনিয়নের অফিস ভাঙা হল না কেন?
পুরপ্রধান পরেশ সরকার অবশ্য যুক্তি দিয়েছেন, "আজ সবাই ক্লান্ত। একদিনে সব কাজ করা যায় না। ১ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শ্যামসায়র এলাকার সংস্কার হবে। তখন এসব কিছুই থাকবে না।" কিন্তু আজ অফিসগুলি ভাঙা হল না কেন? জবাবে পুরপ্রধান বলেন, "আমাকে কয়েকটা দিন সময় দিন। পরের দিন আশা করি থাকবে না।"
দিন পনেরো আগে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছিল কাটোয়ার রেল কুলিবস্তিতে। পঞ্চাশ থেকে ষাট বছর ধরে থাকা রেলের কুলিদের যাবতীয় ঘর ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। রেলের জায়গা দখল করে থাকা একটি ক্লাব ও সিপিএমের কার্যালয়ও ভাঙা হয়। কিন্তু, অক্ষত থাকে রাজ্যের শাসক দলের পার্টি অফিসটি।