শেষ আপডেট: 7th July 2024 17:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পশ্চিম বর্ধমান: ভিনরাজ্যে পড়তে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু হল বাংলার তরুণীর। এই মৃত্যু ঘিরে রহস্য ঘনিয়েছে। দুর্গাপুরের কাঁকসার গোপালপুরের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা দিয়া মণ্ডল। দুবছর আগে বেঙ্গালুরুতে নার্সিং ট্রেনিং নিতে গিয়েছিলেন। সেখানেই হস্টেলের কামরায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধে সাড়ে ছটা নাগাদ মাকে ফোন করেছিলেন দিয়া। তাঁদের মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। ফোন রাখার ১০ মিনিট বাদেই গোপালপুরের দিয়ার এক স্কুলের বন্ধুর কাছে বেঙ্গালুরু থেকে ফোন এসেছিল। সেখানে তাঁকে জানানো হয় দিয়া আর নেই। তাঁর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গেছে। বেঙ্গালুরু পুলিশে দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
পড়শি থেকে আত্মীয়রা কেউই তরুণী এই আকস্মিক মৃত্যু কথা বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না। তাঁদের দাবি, 'খুবই প্রাণবন্ত মেয়ে ছিল দিয়া। খারাপ সময়ে সকলকে সাহস জোগাত। যোগা-তিরন্দাজি থেকে সব ক্ষেত্রেই পারদর্শী ছিল। এমন একজন মানুষ আত্মহত্যা করতে পারে না।'
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পরিবারের একমাত্র মেয়ে ছিল দিয়া। বাবা কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন। মেয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে তিনি বেঙ্গালুরু পৌঁছেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেঙ্গালুরুর ওই কলেজেই বর্ধমানের আউশগ্রামের বাসিন্দা রাহুল নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল ওই তরুণীর। ওই যুবক দিয়াকে পছন্দ করত। কিন্তু সেই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। তাই তরুণীকে বিরক্ত করত ওই যুবক। এই রহস্যমৃত্যুর পেছনে ওই যুবকের হাত থাকতে পারে বলেই মৃত তরুণীর পরিবার সন্দেহ করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সাহায্য চাইছেন শোকার্ত পরিবার।