শেষ আপডেট: 25th January 2025 19:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: এবার অসাধ্য সাধন করলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একদল চিকিৎসক। প্রায় ৭ ঘণ্টার টানা অপারেশনে জীবন ফিরিয়ে দিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের।
গত ১৫ জানুয়ারি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে আন্ত:বিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্টে বাংলা বিভাগের সঙ্গে খেলা ছিল ফিজিক্যাল এডুকেশন বিভাগের। এই খেলায় গোলকিপারের সঙ্গে সংঘর্ষে গুরুতর চোট পান বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে এমপিএড পড়ুয়া বিশ্বজিৎ লোহার। তাঁর বাড়ি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে। বর্ধমান হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করে চলে আসার পর তার পেটে ব্যথা বাড়তে থাকে। পরের দিন ফের তাকে ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়। করানো হয় সিটি স্ক্যান।বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৫ সদস্যের মেডিকেল টিম তৈরি করে চিকিৎসা শুরু হয়।
সেদিন গোলের নেশায় ছুটছিল বিশ্বজিৎ। এগিয়ে এসেছিলেন গোলকিপার। তার সঙ্গে সংঘর্ষে গুরুতর চোট পান বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ওই পড়ুয়া। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার তাপস ঘোষ সাংবাদিক বৈঠকে জানান, ওই পড়ুয়ার জন্য সার্জারি, মেডিসিন, কার্ডিওলজি বিভাগের ১০ জন চিকিৎসককে নিয়ে মেডিক্যাল টিম তৈরি করা হয়।তাঁর পেটে আঘাত লাগায় ভিতরে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। তাই অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। চোট বেশ মারাত্মক ছিল।
সুপার বলেন, "রক্তবমি হওয়ায় ইউএসজি করে বোঝা যায় তাঁর ইন্টারন্যাল ইনজুরি হয়েছে। ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। সার্জেন অরিন্দম ঘোষের নেতৃত্বে অপারেশন হয় ৭ ঘণ্টা ধরে।এরকম অপারেশন খুবই ঝুঁকির। অপারেশন টেবিলে রুগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তবে আমাদের হাসপাতালের চিকিৎসকরা কার্যত বলা যায় অসাধ্য সাধন করে পড়ুয়া ফুটবলারের জীবন ফিরিয়ে দিয়েছেন।"
বিশ্বজিৎ লোহারের বাবা কার্তিক লোহার বলেন, "হাসপাতালের চিকিৎসক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া থেকে শিক্ষক সবাই পাশে থাকায় আমার ছেলে সুস্থ হয়ে উঠছে। আমি সামান্য ঠিকাদারি সংস্থায় কাজ করি। হাসপাতালের ডাক্তারবাবুরা এগিয়ে না এলে কী করতাম জানি না।" পরিষেবায় খুশি জখম বিশ্বজিৎও।